বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডানকুনি টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) নবনিযুক্ত যুব সভাপতি জিয়ারুল আকানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন দলেরই দুই কাউন্সিলর। সরাসরি ‘ক্রিমিনাল’ তকমা দিয়ে তাঁকে যুব সভাপতির পদ থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন ডানকুনি পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সূর্য দে। অভিযোগের তীর এতটাই তীব্র যে খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
রবিবার সন্ধেয় একাধিক জেলার সাংগঠনিক পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। সেই তালিকায় ডানকুনি টাউনের যুব সভাপতি হিসাবে উঠে আসে জিয়ারুল আকানের নাম। এর পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন সূর্য দে।
বিস্ফোরক অভিযোগে সরব সূর্য দে
কাউন্সিলর সূর্য দে বলেন, “জিয়ারুল আকান একটা ক্রিমিনাল। প্রতিদিন বারে যাওয়া তার নিত্য কাজ। রাজনীতির সঙ্গে কোনওদিন যুক্ত ছিল না। অথচ আইপ্যাকের রিপোর্টে তাকে সভাপতি করা হয়েছে।” তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুই জানেন না, নিচুতলার কয়েকজন ভুল তথ্য দিয়ে দলকে বিভ্রান্ত করেছে। তাই জিয়ারুলকে সভাপতি করা হয়েছে।
এখানেই থেমে থাকেনি নি তৃণমূলের (Trinamool Congress) কাউন্সিলর সূর্য। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, “জিয়ারুল আকানের চরিত্র খারাপ। একাধিক নারীতে আসক্ত তিনি। কারখানায় স্ক্র্যাপের মাল তোলা থেকে বারে যাওয়া ছিল তার নিত্য রুটিন।” একই সঙ্গে এদিন সূর্য আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন যে, “আমি মার্ডার হয়ে যেতে পারি। খুন হলে দায়ী থাকবে জিয়ারুল আকান।”
সূর্য দে-র পাশে দাঁড়িয়েছেন ডানকুনি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মণ্ডলও। তাঁর বক্তব্য, “জিয়ারুল কোনওদিন দলের (Trinamool Congress) সঙ্গে ছিল না। বরং বিরোধীদের মদত দিয়েছে, লাখ লাখ টাকা খরচ করেছে। তিনটে ভোটে তাকে দলের হয়ে কাজ করতে দেখিনি। মদের বারের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল সে। সিসিটিভি ফুটেজই প্রমাণ।” হাসানের দাবি, দলকে ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে।
পাল্টা প্রতিক্রিয়া জিয়ারুল আকানের
অভিযোগ উড়িয়ে জিয়ারুল আকান বলেন, “একটা পরিবারে থাকতে গেলে অশান্তি হয়। সূর্য আমার দাদা ভাইয়ের মতো। সম্পর্ক ঠিক হয়ে যাবে। আমাকে দল দায়িত্ব দিয়েছে, আমি পালন করব। বাকিটা দলই দেখবে।”
আরও পড়ুনঃ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে হাওড়ায় অশান্ত তৃণমূল, চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বিধায়ক, কেন?
শাসকদলের (Trinamool Congress) ভিতরের এই অন্দরকলহকে হাতিয়ার করে কটাক্ষ ছুড়েছে বিরোধীরা। বামেদের ডানকুনি এরিয়া কমিটির সম্পাদক মনোজ গায়েন বলেন, “তৃণমূল আপদমস্তক চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত দল। বাংলার মানুষ এতদিন যা বলছিলেন, তা আজ তৃণমূলের কাউন্সিলরই স্বীকার করে নিলেন।”