বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের দুবরাজপুরে এক আদিবাসী যুবককে মারধরের অভিযোগ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) এক নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে আদিবাসী সম্প্রদায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এবং অবরোধ করেছেন।
প্রসঙ্গত,শনিবার দুর্গাপুরে আয়োজিত আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাম মুর্মু নামের এক যুবকও। অনুষ্ঠান শেষে রাতে তিনি দুর্গাপুর থেকে ফেরেন। দুবরাজপুর থানার জয়দেব মোড়ে গাড়ি থেকে নেমে তিনি এক ব্যক্তির মোটরবাইকে চেপে পদুমা গ্রামে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
অভিযোগ হামলার পিছনে তৃণমূলের (Trinamool Congress) অঞ্চল সভাপতি
অভিযোগ, গ্রামে ঢোকার মুখে তেঁতুলতলা মোড়ে কিছু দুষ্কৃতী রাম মুর্মুকে মারধর করে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে যান। রামের অভিযোগ, এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (Trinamool Congress) অঞ্চল সভাপতি তরুণ গড়াই।
এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে দিসম আদিবাসী গাঁওতার দুবরাজপুর শাখার সম্পাদক সুকুমার সরেনের নেতৃত্বে স্থানীয় আদিবাসী বাসিন্দারা দুবরাজপুর পদুমা রাস্তায় অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলার পর পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও তরুণ গড়াই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি বা আমার কোনও লোকই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই।”
আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযানে নির্যাতিতার মা কি পুলিশের হাতে আহত? তদন্ত শুরু, একাধিক FIR বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে
আদিবাসী যুবককে মারধরের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমে। তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তার প্রতিবাদে আদিবাসীদের রাস্তায় নামা আবারও গ্রামীণ রাজনীতিতে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ নেমেছে, তবে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।