Ekchokho.com 🇮🇳

‘চেন খুলে যৌনাঙ্গ দেখাতে বলত’, কসবার পর এবার হাওড়া কলেজের টিএমসিপি ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ

Updated on:

Updated on:

Trinamool Congress leader accused of sexual abuse in Howrah college

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবার পর এবার কাঠগড়ায় কলকাতার আরো এক স্বনামধন্য কলেজ। বেরিয়ে এলো হাওড়ার নরসিংহ কলেজের অন্ধকার অধ্যায়। ওই কলেজের টিএমসিপির (Trinamool Congress) রাজ্য সহ সভাপতি সৌভিক রায়ের (Souvik Roy) বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রকে যৌন হেনস্তার (Sexual Abuse) অভিযোগ উঠেছে। এসএফআই (SFI) এর তরফে এই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে ওই কলেজের র‌্যাগিং ভিডিও (Ragging Video) সামনে আসার পর। অভিযোগ, সৌভিক জোর করে ছাত্রদের প্যান্ট খুলিয়ে যৌনাঙ্গ দেখতেন, ভিডিও করতেন এবং শারীরিকভাবে অপমান করতেন।

ইউনিয়ন রুমে ডেকে প্যান্ট খুলে দিতে বলত

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক ছাত্র জানান, “আমি বিকম(B.Com) ইভিনিং কলেজের ছাত্র। রাতে আটটার পর আমাদের ইউনিয়ন রুমে ডাকা হত। সেখানে সৌভিক রায় প্যান্ট খুলতে বলত, যৌনাঙ্গ দেখত, ভিডিও করত। কেউ কেউ চড় খেত, আবার কখনও ছ্যাঁকা দিত, প্যান্টে জল ফেলে দিত। প্রতিবছর কোনও না কোনও ছেলেকে ধরে করত। আমরা এটা নিয়ে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে জানিয়ে ছিলাম। কয়েকজন দাদার সাহায্যে জানাই।”

অভিযোগের পরও নীরব তৃণমূল (Trinamool Congress)

এই বিষয়ে ২০২৩ সালেই হাওড়া জেলা তৃণমূল (Trinamool Congress) ছাত্র পরিষদ সভাপতি এবং রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য (Trinankur Bhattacharya) কে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগপত্রের কপি পাঠানো হয় ব্যাঁটরা থানা (Batra Police Station) এবং অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিশন (Anti-Ragging Commission) কে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এখনও অভিযুক্ত সৌভিককে কোনও পদ থেকে সরানো হয়নি।

এসএফআই-এর (SFI) দাবি, কলেজে সক্রিয় অপরাধচক্র

এই প্রসঙ্গে এসএফআই (SFI) রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘‘কলেজের ভিতরে অপরাধচক্র চলছে। এই ধরনের নেতাদের মদত দেওয়া হচ্ছে।’’ অন্যদিকে, অভিযুক্ত সৌভিক রায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

Trinamool Congress leader accused of sexual abuse in Howrah college

আরও পড়ুনঃ প্রধান বিচারপতির নির্ধারিত বাংলো দখল! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়

প্রতিবাদ এবং প্রশ্ন উঠলেও তৃণাঙ্কুর জানিয়েছেন, “আমি এখনো এ ধরনের অভিযোগ পাইনি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।” তবে ছাত্ররা বলছে, তাঁকে আগেই জানানো হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে বিতর্কে মুখ পুড়ছে টিএমসিপি-র (Trinamool Congress)।