বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের শেষের দিকে জেল থেকে বাড়ি ফিরেছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তারপর থেকে অনুব্রতর মেজাজ ঠান্ডা থাকলেও সম্প্রতি বড়সড় কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন বীরভূমের এই নেতা। বোলপুর থানার IC-কে ফোনে মা-বউ তুলে নক্কারজনক ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে কেষ্টর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল।
ওডিও কাণ্ডে জামিন মঞ্জুর অনুব্রতের | Anubrata Mondal
সোমবার বোলপুর মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন বীরভূমের কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা বীরভূম জেলা প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই জামিন পান কেষ্ট। সোমবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বণিকব্রত দত্তের এজলাসে অনুব্রত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন। কেষ্টর জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
এ বিষয়ে কেষ্টর আইনজীবী জানান, ‘আজ আমার মক্কেল আদালতে আত্মসর্মপণ করেন। আদালত জামিন মঞ্জুর করেছে। কোর্ট কোনও শর্ত দেয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসলে উনি তো অসুস্থ-তারপর বয়স্ক। সেই শর্তেই জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এর বেশি কিছু বলব না।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বোলপুর থানার (Bolpur Police Station) আইসিকে ‘হুমকি’ অশ্রাব্য গালাগাল দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অনুব্রতর বিরুদ্ধে। ভাইরাল অডিওতে শোনা যায়, ফোনে কথোপকথনে এক ব্যক্তি আর এক ব্যক্তিকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। অভিযোগ ওঠে, ফোনের একপ্রান্তে অনুব্রত এবং অপর প্রান্তে বোলপুর থানার আইসি লিটন। আইসি-কে গালিগালাজের পাশাপাশি আইসি-র স্ত্রী এবং মায়ের নামেও গালিগালাজ করা হয় অডিয়োতে।
সেই অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। দল কেষ্টর উপর খড়্গহস্ত হওয়ায় ক্ষমা চান তৃণমূল নেতা। পাশাপাশি, বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনএস আইনের চারটি ধারায় (২২৪, ১৩২, ৩৫১ ও ৭৫) অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। জয় গড়ায় আরও দূর। যদিও এত কাণ্ডের পরও কেষ্টর অনুগামীদের দাবি ছিল, এই অডিয়ো ক্লিপ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা AI এর সাহায্যে বানানো।
আইসি-কে অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণের জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন অনুব্রত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রায় দু’বার কেষ্টকে সমন পাঠায় পুলিশ। তবে কোনোবারই হাজিরা দেননি অনুব্রত। পরে বোলপুরের এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। এবার এই ঘটনায় আত্মসর্মপণ করে জামিন পেলেন কেষ্ট।