বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট (Assembly Elections 2026)। ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে এর আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে। শাসক, বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয়েছে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ধারা। এই আবহে সিপিএম, বিজেপিকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) এক নেত্রী। পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপিও (BJP)।
গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ার নিদান দিলেন কোন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী?
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে একটি সভার আয়োজন করেছিল বর্ধমান ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সভা থেকেই সিপিএম, বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ শানান তৃণমূল নেত্রী কাকলি তা গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘সিপিএম, বিজেপির কেউ এলাকায় এলে আগুনে খুন্তি পুড়িয়ে ছ্যাঁকা দিন। তাঁরা যেন জ্বলতে জ্বলতে এলাকা ছাড়া হয়’।
দিনকয়েক আগেই এক তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বাবাকে খুনের চেষ্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী কাকলি তা গুপ্ত। বর্ধমান আদালতের তরফ থেকে তাঁকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০০০ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে অস্থায়ী জামিনে রয়েছেন কাকলি। এবার তাঁর এহেন ‘হুমকি ভাষণ’ নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
আরও পড়ুনঃ ‘ঘরবন্দি’ অনুব্রত মণ্ডল! রামনবমী পুজোয় উপস্থিত কাজল শেখ! তুলে নিলেন ধব্জা ও ত্রিশূল
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। পদ্ম নেতা দেবজ্যোতি সিংহ রায় বলেন, ‘আদালতে সাজা প্রাপ্ত হয়ে কাকলি তা গুপ্তের কোনও চেতনা হয়নি। রামনবমীর মিছিলে মুখে চুনকালি লাগিয়ে ওনার হাঁটা উচিত’।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের একটি ঘটনার জেরে সম্প্রতি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী কাকলি। সেই বছর পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রামের দাসপাড়ায় শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন তৃণমূলেরই তৎকালীন এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাবা। পরবর্তীতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতার মা।
অভিযোগ আনা হয়, তৃণমূলের (Trinamool Congress) ক্ষমতাসীন নেতাদের বেধড়ক মারধরের জেরে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পালের বাবা দেবু পালের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ২৮ মার্চ এই মামলায় বর্ধমান আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র রায় ঘোষণা করেন। সেখানে তৃণমূল নেত্রী কাকলি তা গুপ্তের পাশাপাশি আরও একাধিক জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। খুনের চেষ্টা, মারধর সহ একাধিক ধারায় কাকলিকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। বর্তমানে অস্থায়ী জামিনে মুক্ত তিনি। এবার সেই কাকলিরই ‘হুমকি ভাষণ’ নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।