‘সাগরদিঘিকে দ্বিতীয় ভাঙড় বানানোর চেষ্টা করছেন’, তৃণমূলের এই হেভিওয়েটকে নিয়ে বিস্ফোরক দলেরই ব্লক সভাপতি

Published on:

Published on:

bayron biswas

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কংগ্রেসের টিকিটে জিতে তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস (Bayron Biswas)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলে পদার্পণ। এবার সেই বাইরনের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ দলে। দলের বিধায়ককে নিয়ে বোমা ফাটালেন শাসকদলেরই ব্লক সভাপতি।

ব্লক সভাপতির নিশানায় বিধায়ক | Trinamool Congress

সামনেই তৃণমূলের একুশে জুলাই। জেলায় জেলায় সেই নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসকদল। সেই প্রস্তুতি সভা থেকেই বিধায়ক বাইরনকে তোপ দাগলেন সাগরদিঘি ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নুরে মেহেবুব আলম। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে মেহেবুব বলেন, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিকে দ্বিতীয় ভাঙড় বানানোর চেষ্টা করছেন বাইরন বিশ্বাস।

মেহেবুবের আর্জি, ” ভাঙড়ের মতো সাগরদিঘিতে কোনও মায়ের কোল খালি হতে দেবেন না। ” শাসকদলেরই গোষ্ঠীকোন্দলের উদাহরণ টেনে আনেন এদিন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। প্রকাশ্য সভা থেকে তিনি বলেন, “বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস বলেছিলেন, তৃণমূলকে কিনে নেব। আর দেখলাম কী, নিজের স্বার্থের জন্য, ব্যবসা বাঁচাতে সেই পায়ে ধরে তৃণমূলে এলেন উনি।”

বাইরনকে কড়া কটাক্ষ করে মেহেবুব বলেন, “আমি জানি না কতদিন দলে থাকব।” এর আসল হিসেবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলেন, “যাঁরা আসল তৃণমূল, যাঁরা বুথ সভাপতি, যাঁরা তৃণমূলের জন্য পরিশ্রম করছেন, তাঁদের বিধায়ক বিভিন্নভাবে প্রত্যাঘাত করার চেষ্টা করছেন।” “শান্তিপ্রিয় সাগরদিঘিতে যাতে মানুষে মানুষে বিভেদ হয়, তার চেষ্টা করছেন এই বাইরন বিশ্বাস।”

“আমরা কোনও অশান্তি চাই না। চাই না কোনও মায়ের কোল খালি হোক। আমাদের কোনও মায়ের যদি কোল খালি হয়, তার জন্য দায়ী থাকবেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। কারণ, প্রত্যেক জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন বিধায়ক।” এখানেই থেমে যাননি তিনি। আরও বলেন, “আমরা কোনও অশান্তি চাই না। চাই না কোনও মায়ের কোল খালি হোক।”

ব্লক সভাপতির স্পষ্ট কথা, “আমাদের কোনও মায়ের যদি কোল খালি হয়, তার জন্য দায়ী থাকবেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। কারণ, তিনি প্রত্যেক জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন।” উল্লেখ্য, সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।

আরও পড়ুন: দু-তিন ঘন্টায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝেঁপে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায়, ফের দুর্যোগ? জারি হল সতর্কতা

ভাঙড়ে খুনের ঘটনায় তৃণমূলের অভিযোগের তীর আইএসএফের দিকে। যদিও বিরোধীদের দাবি, শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলেরই বলি ওই নেতা। এদিকে ওই তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশও তৃণমূলের আরেক নেতাকে গ্রেফতার করেছে। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে। এরই মধ্যে ভাঙড়েরই প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল বিধায়ককে নিশানায় জোর অস্বস্তিতে শাসকদল।