কোন্নগরে দাপুটে তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি কোপ! SSKM-এ নিয়ে যেতেই মৃত ঘোষণা

Updated on:

Updated on:

Trinamool Congress leader murdered in Konnagar

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের রাজনৈতিক রক্তক্ষয়। এবার হুগলির কোন্নগরের কানাইপুরে দুষ্কৃতীদের হামলায় নৃশংসভাবে খুন হলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে একদল দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারে। স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার SSKM হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাকে

ঘটনাটি ঘটেছে কানাইপুরের একটি ব্যস্ত রাস্তায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হঠাৎ করেই একদল দুষ্কৃতী এসে পিন্টুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং কোনও কথা না বলেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা সংখ্যায় ৩ থেকে ৪ জন ছিল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

তৃণমূলের (Trinamool Congress) অভ্যন্তরীণ বিরোধ, নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা?

পিন্টু চক্রবর্তী এলাকার পরিচিত রাজনৈতিক মুখ। আগের পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছেলাল যাদবের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। তবে গত কয়েক মাসে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে বলেই স্থানীয় সূত্রের দাবি। ফলে এই খুনের পিছনে রাজনৈতিক অন্তর্ঘাত, ব্যক্তিগত শত্রুতা না কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

প্রকাশ্যে ব্যস্ত রাস্তায় এই ধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। উপস্থিত হন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভবেশ ঘোষ এবং এলাকার তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্ব।

Trinamool Congress leader murdered in Konnagar

আরও পড়ুনঃ ‘স্বাধীনতার পর সবথেকে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’, সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষায় শাহের ইস্তফার দাবি অভিষেকের

পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। নিহত পিন্টু চক্রবর্তীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও FIR দায়ের করা হয়নি, তবে ঘটনার নেপথ্যে কারা থাকতে পারে তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারী দল।