বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাঁইথিয়ার রাত যেন বিভীষিকার সাক্ষী। রাত ১২টা, একটি ফোন আসে, এবং সেই ফোনই যেন মৃত্যুর ডাকে পৌঁছে দেয় তৃণমূলের (Trinamool Congress) অঞ্চল সভাপতি পীযূষ ঘোষকে। বাড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে, রাস্তার উপর পড়ে ছিল তাঁর রক্তাক্ত দেহ। মাথার পিছন থেকে গুলি করে খুন (Murder), অভিযোগ উঠেছে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে খুনের। রাজনীতির বলি আরও এক নেতা, আর্তনাদ তাঁর স্ত্রীর—”সব রাজনীতি! আমার সংসার শেষ হয়ে গেল।”
সাঁইথিয়ার শ্রীনিধিপুর অঞ্চলের তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি পীযূষ ঘোষ (Piyush Ghosh) প্রতিদিনের মতোই ছিলেন বাড়িতে। জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। এরপরই তিনি বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। বাড়ি থেকে মাত্র ১ কিমি দূরেই তাঁকে পেছন দিক থেকে মাথায় গুলি করা হয়। গুলি ঢুকে গিয়ে মাথার সামনে থেকে বেরিয়ে যায়। বাইকের পাশে মাটিতে পড়ে ছিল তাঁর নিথর দেহ, রক্তে ভেসে যাচ্ছিল রাস্তা।
দলীয় (Trinamool Congress) রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ স্ত্রীর
এই খুন (Political Murder) যে শুধুই ব্যক্তিগত আক্রোশ নয়, বরং সরাসরি রাজনীতির (Politics) ফল, তা স্পষ্ট করছেন নিহতের স্ত্রী নিজেই। তিনি বলেন, “সব রাজনীতির জন্য। আমিই ওকে বলেছিলাম রাজনীতি ছেড়ে দে। আমাদের তো কোনও অভাব ছিল না। তাও গেল। আমার বড় ছেলে যেন অন্তত একটা সরকারি চাকরি (Government Job) পায়।” রাত তিনটের সময় তিনি খবর পান স্বামী খুন হয়েছেন। শেষ কথা হয়েছিল রাত দেড়টায়। স্ত্রীর দাবি, অপরাধীদের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।
তিন জন আটক, তদন্তে নেমেছে পুলিশ
ঘটনার পর রাতেই ২ জন মহিলা-সহ মোট ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে এই খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, এটি রাজনৈতিক খুন (Political Murder)। তৃণমূল (Trinamool Congress) সূত্রে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলেনি, তবে স্থানীয় স্তরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দলীয় নেতার এমন নির্মম খুনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা সাঁইথিয়া জুড়ে।
আরও পড়ুনঃ ইউনুস সরকার সভ্যতার শত্রু! ‘আমি কিছুই করতে পারিনি’, চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেপ্তারিতে আক্ষেপ শমীকের
খুনের ছাপ রাজনীতিতে, ফের উত্তপ্ত বীরভূম
বীরভূম (Birbhum) জেলা বরাবরই রাজনৈতিক সংঘর্ষের জন্য কুখ্যাত। ভাঙড়, ইংরেজবাজারের পর এবার সাঁইথিয়ায় গুলি! তাও আবার পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ফের এক তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার এমন পরিণতিতে প্রশ্ন উঠছে—তৃণমূলের ভিতরে কি বাড়ছে অন্তর্কলহ? নাকি বিরোধীদের সক্রিয় ভূমিকা? পুলিশের তদন্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে এলাকাবাসী।