পরকীয়া করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তৃণমূল নেতা, সারারাত ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখল স্থানীয়রা

Published on:

Published on:

Trinamool Congress leader tied to lamppost and beaten in Jayanagar

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের সরগরমের হাওয়া রাজ্য রাজনীতিতে। ধর্ষণ, খুন, শ্রীলতাহানির মতো মত একাধিক ক্ষেত্রে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের। তেমনই আরো একবার বিতর্কে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার। এবার বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়লেন তৃণমূল নেতা।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের পরের দিনই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই অভিযুক্ত। তিনি চালতাবেড়িয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) কনভেনার। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েতের মহিলা সদস্যের স্বামীও তিনি। এক সময় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবেও কাজ করতেন ওই নেতা। তবে আচরণগত সমস্যার কারণে বহু আগেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে।

সূত্রের খবর, ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসে কলকাতা যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন তিনি। রাতে বাড়ি ফিরে পাশের বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তাঁতিপাড়া এলাকার এক গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে যান। অভিযোগ, সেখানেই তাঁদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় ধাওয়া। এরপর স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই তৃণমূল নেতাকে। এরপর উত্তেজিত জনতা তাঁকে একটি ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে বেঁধে রাখে। রাত্রিভর সেখানেই পড়ে থাকেন তিনি। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ভিড় করেন বহু মানুষ।

গ্রেফতার তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা, থানায় অভিযোগ দু’পক্ষের

ঘটনার খবর পেয়ে জয়নগর থানার পুলিশ এসে রাতেই ওই অভিযুক্ত নেতাকে উদ্ধার করে। সঙ্গে ছিলেন অভিযুক্ত মহিলাও। দু’জনকেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে পুলিশ। অন্যদিকে, মহিলার স্বামী গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে ‘নির্যাতন’ ও ‘অপমান’ করার অভিযোগ এনেছেন। পাল্টা গ্রামবাসীরাও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে জয়নগর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ বিরাট স্বস্তি! মমতাকে নিয়ে দীপক ঘোষের লেখা ‘বিতর্কিত’ বইয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আদালত

রাজনীতিতে ফের বিতর্কের ঝড়

এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। দলের কোনও উচ্চপদস্থ নেতার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এমন ঘটনায় শাসকদলের গা ঝাড়া দিয়ে দায় এড়ানোর পুরনো অভ্যাস আবারও সামনে এসেছে বলেই কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা।