বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও নিয়োগ দুর্নীতি রাজ্যে (Recruitment Scam)। তবে এবার বাম আমলে বেআইনি নিয়োগের তথ্য প্রমাণ সামনে আনল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। বুধবার তৃণমূলের প্রতিবাদ সভা থেকে ৭১ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mallick)। দমদম, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক তাপস রায় ও দমদমের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। এদিন সভামঞ্চ থেকে তালিকার নামগুলি পড়ে শোনান তাপস রায় (Tapas Ray)।
এই তালিকা প্রকাশের পর শোরগোল ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। জানা যাচ্ছে, বুধবারের ওই তালিকায় নাম রয়েছে সিপিআইএম বারাসাতের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতার। নাম প্রকাশ করে তাপস রায় বলেন, ‘চাকরি দুর্নীতি নিয়ে সিপিআইএম সবথেকে বেশি সরব হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে যারা টাকা নিয়েছে আমরা সেটা সমর্থন করি না। কিন্তু সিপিআইএম যে চিরকুট দুর্নীতি করেছে এটাই তার প্রমাণ।’
রাজ্যের মন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা। এটা বারাসাত পুরসভার মাত্র ৭টি ওয়ার্ডের তালিকা। এরকম আরও তালিকা প্রকাশ্যে আনা হবে। সেই তালিকাও তৈরি হচ্ছে। আমরা সব প্রকাশ্য আনব। এই তালিকায় যেমন শিক্ষক আছে, তেমনই বিডিও অফিস, সমবায় ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অনেকে চাকরি করছে, অনেকে অবসর নিয়েছেন। মনে রাখবেন, আমরা এই সব তালিকা নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হলে তাঁদের বেতন, পেনশন সমস্ত বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, সমস্ত টাকাই তখন ফেরত দিতে হবে।’
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। চলছে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের খেলা। বিরোধীদের আক্রমণে কোণঠাসা শাসক দল। তার থেকে বের হাওয়ার উপায় হিসেবে এখন তারা আগের সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে শুরু করেছে। অভিযোগ উঠেছে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর পরিবারের লোকজন দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে।
কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ঘটনার অভিযোগ যদি মিথ্যা হয় তাহলে এমন রটনার নিন্দা করা হবে। তার দাবি, সিপিএমের সূত্র থেকেই এই তালিকা পাওয়া গিয়েছে। তবে তালিকা সন্দেহজনক তো বটেই। কারণ বাম আমলে বেকারের সংখ্যা নিহাত কম ছিল না। সেই সময় দাঁড়িয়ে একটি পরিবার থেকে এতজন চাকরি পাওয়া নেহাত কাকতালীয় নয়।