বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদের রানিনগরে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগে তীব্র বিতর্ক। এক তৃণমূল (Trinamool Congress) যুব নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করে বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রশাসনিক স্তর থেকে রাজনৈতিক মহল, সর্বত্রই এই নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে।
একই সাথে দুই সরকারি ভাণ্ডার থেকে বেতন তুলেছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার স্ত্রী
অভিযোগ উঠেছে, রানিনগরের কোমনগর হাই মাদ্রাসার সংখ্যালঘু ছাত্রী হোস্টেলে মেট্রন পদে নিযুক্ত রুপসোনা খাতুন একই সময়ে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’-এর (BSK) ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবেও কাজ করছিলেন। ফলে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ভাণ্ডার থেকে দুই জায়গা থেকে একসঙ্গে বেতন তুলেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress) মহম্মদ কুদ্দুস আলি লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ মাসে রুপসোনা হোস্টেলে চাকরিতে যোগ দেন। পরে ২০২১ সালের আগস্টে স্বামীর নাম গোপন রেখে অন্য কাগজপত্রে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে চাকরি নেন। রুপসোনা খাতুন হলেন রানিনগর-২ ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি মিজান হাসানের স্ত্রী। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই বেকার যুবক-যুবতীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
যুব নেতা মিজান হাসান অবশ্য দাবি করেছেন, বর্তমানে তাঁর স্ত্রী কেবল এক জায়গায় কাজ করছেন। তিনি আগেই মেট্রন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে কুদ্দুস আলির বক্তব্য, পদত্যাগ করলেই দায় শেষ হয় না। যে অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে তা সরকারি তহবিলে ফেরত দিতে হবে। অন্যদিকে কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মমতাজ বেগম হীরা বলেছেন, “তৃণমূলের ভেতর থেকেই দুর্নীতি এখন প্রকাশ পাচ্ছে। একজন নাগরিক হিসেবেও আমি ধিক্কার জানাই।”
আরও পড়ুনঃ অযৌক্তিক মামলা! কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে সব্যসাচীর করা মানহানির মামলা খারিজ করল হাই কোর্ট
এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন এই অভিযোগে কী পদক্ষেপ নেয়। কুদ্দুস আলি ইতিমধ্যেই লিখিত নথিসহ একাধিক দফতরে দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। তৃণমূলের (Trinamool Congress) অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জন্ম নেওয়া এই অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় বইছে।