বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের আবাস যোজনায় দুর্নীতি (Pradhan Mantri Awas Yojana)! ঘর দেওয়ার নাম করে প্রায় ৪০০ মানুষের কাছ থেকে টাকা নেন পঞ্চায়েত প্রধান। মেয়াদ ফুরালেও তাদের কেউই ঘর পাননি। এর পর টাকা ফেরতের দাবিতে পথ অবরোধে সামিল হলেন কয়েকশ’ মানুষ। আজ রবিবার সকালে বুধিয়া বাস স্ট্যান্ড অবরোধ করে তারা। পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাঁদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করা হয়।
মালদহের ইংরেজ বাজার ব্লকের নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মজিবুর রহমান আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার নাম করে এলাকার প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ পরিবারের কাছ থেকে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, কারও কাছ থেকে ১০ হাজার, কারও কাছ থেকে ২০–২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন প্রধান ও প্রধানের ছেলে।
প্রায় আড়াই বছর আগে টাকা নিলেও এখনো বাড়ি পাননি কেউ। ওদিকে পঞ্চায়েতের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। টাকা ফেরতের দাবিতে প্রথমে প্রধানের বাড়ি ঘেরাও করেন তাঁরা। তার পরেও প্রধান টাকা ফেরত দিতে না চাওয়ায় পথ অবরোধ করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে টাকা ফেরত দিতে হবে বিদায়ী প্রধানকে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইংরেজ বাজার থানার পুলিস। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে বিডিও ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন। এর পর অবরোধ ওঠে। ব্যস্ত সময় শহরের ওই রাস্তায় অবরোধের জেরে যানজট তৈরি হয়।
এদিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে কয়লা পাচার, গরু পাচারের অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্যের শাসকদলেক একাধিক বড় মুখ। গারদের পিছনে ঠাঁই হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যয়ের (Partha Chatterjee)। জেলে রয়েছেন একাধিক প্রাক্তন আমলা, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা (Trinamool Congress Leader)। রাজ্যজোড়া এই এই দুর্নীতি দেখেই মন কেঁদে উঠছিল ৭৬ বছরের বাম কর্মী বেচু সাঁতরার।
বারো বছর ধরে নিজের চোখের সামনে দেখেছেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের দুর্নীতি। পথ খুঁজছিলেন প্রতিবাদের। শেষে এবার বৃদ্ধ বয়সেই রাজনীতির ময়দানে তৃণমূলকে জোর টক্কর দিতে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছেন বেচুবাবু। হুগলির (Hooghly) হরিপালের সহদেব গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথে বামেদের গ্রাম সদস্যের প্রার্থী হয়েছেন তিনি।