চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! ‘নাম মুখে আনতেই ঘৃণা করে’, বিধায়ককে কটাক্ষ উপপ্রধানের, পাল্টা MLA বললেন…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। তার আগে ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের নেতাদের চুলোচুলি। এবার তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) সঙ্গে দলেরই প্রধান-উপপ্রধানের (Panchayat Pradhan) তুমুল ঝামেলা পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীতে। জল এতটাই গড়ালো যে জেলাশাসক, কালনার মহকুমা শাসকের দফতরে পূর্বস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগও জানালেন বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। উল্টে উপপ্রধানের বক্তব্য, ‘বিধায়কের নাম মুখে আনতে ঘৃণা করে’।

শুধু তাই নয়, উপপ্রধানের ‘চার আনা’ও দাম নেই বলেও মন্তব্য করেন বিধায়ক। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত উপপ্রধানের উদ্যোগে ৪৫ লক্ষ টাকা খরচে পঞ্চায়েতের কটেজ তৈরি ও তার লিজ দেওয়া নিয়ে টাকা তছরূপ নিয়ে তার বিরুদ্ধে এসডিওর কাছে অভিযোগ জানান বিধায়ক। পাশাপাশি গ্রামপঞ্চায়েতে ১৫ সদস্যর মধ্যে বিধায়কের নির্দেশে ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্যও অভিযোগ জানান বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে, বিধায়কের কারণে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামপঞ্চায়েত হাতছাড়া হতে পারে। এমন আশঙ্কা করে উল্টে বিধায়ককে একহাত নিয়েছেন উপপ্রধান। এলাকার বিধায়কের দাবি, কোনও আলোচনা ছাড়াই সব করে ফেলেন প্রধান, উপপ্রধান। এই নিয়ে উপপ্রধান বলেন, “উনি আলোচনা করেন কি না জিজ্ঞাসা করবেন। আর পঞ্চায়েত সদস্য যারা এসডিওর কাছে গিয়েছেন, আসলে ভয়ে বা চামচাগিরি করতে। রেজোলিউশন আমার করা আছে। দেখে নিতে পারে। মিটিং ডাকা হয়েছে, যারা এসেছে এসেছে। কেউ না এলে তো ধরে নিয়ে আসবে না প্রধান।”

tmc flag

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন উপপ্রধান। তিনি বলেন, “যে যেমন, সে তেমনই মনে করবে। আমাদের পঞ্চায়েতে কোনও দুর্নীতি হয়নি। যদি কেউ মনে করে দুর্নীতি হয়েছে, সরকারি নিয়ম মেনে তদন্ত করলেই পেয়ে যাবে। আসলে যে চিনি খায়, তার কাছে সবই চিনি মনে হয়।” তার মতে, “বিধায়কের হয়ত কোনও স্বার্থে ঘা লেগেছে তাই অভিযোগ করছেন। কেউ যদি বলে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত প্রমাণ করে দিক।”

অন্যদিকে, বিধায়ক তপনবাবু বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে অধিকাংশ সদস্যকে দিয়ে প্রথমে সই করিয়ে নিয়ে তারপর রেজোলিউশন করেছিলেন। ১৪ জনের সই ছিল। প্রধান সেদিন যাননি। উপপ্রধানই সব করেছিলেন। আমাদের না জানিয়েই সবটা করেছেন। পরে কটেজ যখন হয় বলা হয়েছিল, রাস্তাঘাট করতে। ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এসব করছে। আমার কাছে অধিকাংশ সদস্য অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েতের। তাই আমি জেলাশাসক, এসডিওকে অভিযোগ জানিয়েছি।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর