বাংলা হান্ট ডেস্ক : মালদহের রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের শ্রীপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রধান সেরিনা বিবি বড়সড় বিপদে পড়লেন। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়ে দিয়েছে, তাঁকে ৬১ লক্ষ টাকার বেশি ফেরত দিতে হবে সরকারকে। অভিযোগ, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে শতাধিক প্রকল্পে টাকা নয়ছয় হয়েছে। আর এই সব কিছুর পেছনে ছিলেন সেরিনা নিজেই। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ নিজামুদ্দিন অভিযোগ করেন, ওই সময় সেরিনা ইচ্ছে করে প্রতিটি প্রকল্পে এক লক্ষ টাকার কম বরাদ্দ দেখাতেন। এতে টেন্ডার ছাড়াই কাজ দিয়ে দেওয়া যেত। আর সেই কাজ যেত আত্মীয়স্বজনদের হাতে। টাকা ঢুকত সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এইভাবে কোটি কোটি টাকা গায়েব হয়ে যায় বলে দাবি তাঁর।

তদন্তে বাধা দিতে লোক ঢুকিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধান
নিজামুদ্দিন আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী সংস্থা ক্যাগ (CAG) যখন পঞ্চায়েতে আসে, তখন সেরিনা তাঁর লোকজন দিয়ে রীতিমতো বাধা দেন। বাইক করে প্রায় হাজার খানেক লোক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল গ্রামে। তদন্তকারীদের স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলতেও দেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, মোট দুর্নীতির অঙ্ক অন্তত ১৪-১৫ কোটি টাকা। হাইকোর্ট এবার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারকে বলেছে, পুরো তদন্ত সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে হবে। স্থানীয় থানায় ইতিমধ্যে এফআইআরও হয়েছে। বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান আনিকুল হক জানালেন, “আমরা বা বর্তমান বোর্ড কেউ এই ঘটনায় জড়িত নই। তদন্তে পুরো সাহায্য করব।”
আরও পড়ুন : পোলট্রি ফার্মে তুলে নিয়ে গিয়ে… কসবা কাণ্ডের মাঝেই ফের গণধর্ষণ রাজ্যে! গ্রেফতার ২

দোষ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলছে তৃণমূল
তৃণমূলের মালদহ জেলা মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, “দুর্নীতিকে আমরা কোনওভাবেই সমর্থন করি না। হাইকোর্ট যা বলেছে, তদন্ত সেই ভাবেই হবে। যদি দোষ প্রমাণ হয়, তবে দলীয় পরিচয় দেখব না—আইনি ব্যবস্থা হবে।” তবে সেরিনা বিবি এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি। ছাব্বিশের ভোটের আগে এই ঘটনা শাসক দলের অস্বস্তি আরও বাড়াবে বলেই মনে করছেন অনেকেই।