বাংলা হান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা এখন দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বিদেশের মাটিতেও। গোটা দেশ জুড়েই সমালোচনার মুখে তৃণমূল (Trinamool Congress)। এই ঘটনাকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে বঙ্গবিজেপি। সম্প্রতি এই বিষয়ে সুর চড়িয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। মুখ খুলেছেন অনুরাগ ঠাকুর থেকে শুরু করে শুধাংশু ত্রিবেদীর মত কেন্দ্রীয় নেতারাও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি থেকেই শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) জন্য লুক আউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। যদিও এতদিন তিনি ছিলেন সকলের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার অনুপস্থিতিতে ভয় কাটিয়ে রাস্তায় নেমেছে সন্দেশখালির হিন্দু মহিলারা। তাদের উপর হওয়া অত্যাচারের কথা শুনে স্তম্ভিত গোটা দেশ। ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী তো সোজা চিঠিই পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরবারে।
এসবের মাঝেই গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হয়েছেন শাহজাহান শেখ। যদিও বিরোধীদের মতে, এই গ্রেফতারি নাকি গোটাটাই শর্তসাপেক্ষে। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার আগের দিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, শাহজাহান এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মধ্যে এক বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এমনকি উডবার্নে একটা বেডও নাকি প্রস্তুত করা হয়েছে শাহজাহানের জন্য।
আরও পড়ুন : ৬০ কোটির গাড়ি, নোটের পাহাড়! আয়কর বিভাগের তল্লাশিতে মিলল কুবেরের ধন! হুলস্থূল কাণ্ড শহরে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৫ জানুয়ারি। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দেশখালির বাড়িতে পৌঁছায় ইডি আধিকারিকরা। শাহজাহানের নাগাল তো পাওয়া যায়নি উলটে গ্রামবাসীরা চড়াও হয় ইডি আধিকারিকদের উপর। তারপর থেকেই ‘ফেরার’ হয়ে যান সন্দেশখালির বাঘ। এই ঘটনার দিনকয়েক পরেই মুখ খুলতে শুরু করে দ্বীপাঞ্চলের মানুষজন। উত্তম সর্দার থেকে শিবু হাজরার মত একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে আম জনতা।
আরও পড়ুন : ‘পাকিস্তান বিজেপির শত্রু, আমাদের নয়’, কংগ্রেস নেতার মন্তব্য ঘিরে ভারত জুড়ে নিন্দার ঝড়
তারপর থেকেই বিশেষজ্ঞ মহলে প্রশ্ন, আসন্ন লোকসভায় কি বসিরহাটের আসন ধরে রাখতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস? জবাব জানতে গত ৫ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি জনমত সমীক্ষা চালানো হয় সন্দেশখালিতে। আর এই সমীক্ষা যা বলছে তা কার্যত অবাক করার মতই। ইন্ডিয়া টুডের এই জরিপ বলছে, বসিরহাট কেন্দ্র এবারও যাবে তৃণমূলের ঝুলিতেই। অর্থাৎ সন্দেশখালির অধিকাংশ মানুষ এখনও ঘাসফুলেই আস্থা রাখছেন। এমনকি যে বারাসাতে মোদী জনসভা করবেন, সেই বারাসাতও নাকি যাবে তৃণমূলের হাতেই।