বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি থেকে গরু এবং কয়লা পাচার মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। একের পর এক দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়িয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress)। এই পরিস্থিতিতে শাসক দলের সকলেই ‘চোর’ বলে অতীতে একাধিকবার দাবি করে এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এবার সেই সুরে এক প্রকার সুর মেলালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা মন্ত্রীপুত্র সুপ্রকাশ গিরি (Suprakash Giri) ঠিক কি বলেছেন তিনি, যা ঘিরে ইতিমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।
সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ক্রমাগত সামনে এসে চলেছে, তাতে অস্বস্তিতে শাসক দল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের মতো নেতা মন্ত্রীরা হেফাজতে। এই পরিস্থিতিতে অতীতে একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সব নেতারাই চোর। বর্তমানে পার্থ এবং অনুব্রত ধরা পড়েছে। কয়েকদিন বাদে পিসি থেকে ভাইপো সকলেই ফেঁসে যাবে।”
এই পরিস্থিতিতে যখন বিরোধী দলনেতাকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করে চলেছে তৃণমূল শিবির, সেই সময় আচমকা কেন শুভেন্দুর সুরে সুর মেলেন সুপ্রকাশবাবু? আসলে এদিন সুকৌশলে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ ছুড়ে দেন তৃণমূল নেতা।
রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র এদিন বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী অতীতে একাধিক সময় মন্তব্য করে চলেছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই নাকি চোর। আমি বলতে চাই যে, তুমি (শুভেন্দু অধিকারী) আগে তোমার বাবা শিশির এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে চোর বলো, যারা তৃণমূলের হয়ে জয়লাভ করেছে। তারপরে তোমার বক্তব্য মেনে নেওয়া হবে।”
একইসঙ্গে সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “কাঁথিতে এক বেইমান নেতা রয়েছে, যে কেন্দ্র সরকারকে চিঠি দেওয়ার মাধ্যমে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে দিয়ে চলেছে। গত বছর থেকে আবাস যোজনার পাশাপাশি ১০০ দিনের প্রাপ্য টাকা পাচ্ছে না রাজ্য সরকার। একাধিক শ্রমিক এমন রয়েছেন, যারা কষ্ট করে কাজ করলেও টাকা থেকে বঞ্চিত। বিজেপি এবং ওদের নেতাদের পঞ্চায়েত ভোটে পরাজিত করে এর যোগ্য জবাব দেবে মানুষ।”
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে সুপ্রকাশবাবু বলেন, “সিবিআই এবং ইডির মাধ্যমে বিজেপি মানুষের ওপর অত্যাচার করে চলেছে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ শেষ কথা বলবেন। কষ্ট করেও শ্রমিক এবং গরিব মানুষরা তাদের প্রাপ্য টাকা পায়নি। তারা বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবে। পঞ্চায়েত ভোটে ওদের বিসর্জন হবে।”
একইসঙ্গে এদিন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি বিজেপিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “বিরোধী দলনেতা পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে আপত্তি প্রকাশ করেছেন, অথচ ওদের শাসিত ত্রিপুরায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিতে চায়নি সরকার। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সকল কেন্দ্রে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে বিজেপির জন্য। সেই কারণে তারা সিপিএমের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করে চলেছে। অপরদিকে শিশির অধিকারী তৃণমূলের ভোটে জিতলেও বিজেপির হয়ে কথা বলে চলেছেন। মানুষ ওদের ঠিক জবাব দেবে।”