বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে গিয়েছে। বিরোধী দল বিশেষ করে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক আক্রান্ত হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসায়। অনেকেই এখনও ঘরছাড়া। কিছু কিছু জায়গায় বিজেপির কর্মীদের ঘরে ফেরানো হচ্ছ, আবার কিছু জায়গা থেকে এও অভিযোগ উঠেছে যে, শুধুমাত্র তৃণমূল (All India Trinamool Congress) করার শর্তেই বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরানো হচ্ছে।
একদিকে যখন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি, তখন আরেকদিকে মেদিনীপুরে বিজেপিকে সামাজিক বয়কট করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিরোধী দল বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে যে, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা লিফিলেট বিলি করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বয়কট করার জন্য চাপ দিচ্ছে এলাকাবাসীকে।
কেশপুরের মহিষাদা থেকে একটি লিফিলেট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে কয়েকজনা নাম উল্লেখ করা বলা হয়েছে যে, তৃণমূলের অনুমতি ছাড়া এদের যেন কোনও জিনিস বিক্রয় না করা হয়। স্বভাবতই এই লিফলেট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। তবে এই তালিকায় শুধু বিজেপির কর্মীদেরই না, কিছু সিপিএম কর্মীদেরও নাম রয়েছে।
লিফলেটে লেখা হয়েছে, ‘পার্টির অনুমতি ছাড়া এই সমস্ত ব্যক্তিদের কোনও জিনিস পত্র বিক্রয় করা যাবে না। চা দোকানদারদের উদ্দেশ্যে জানানো যায় এই ব্যক্তিদের চা দেওয়া যাবে না।” লিফলেটের উপরে লেখা রয়েছে ‘মহিষদা তৃণমূল কংগ্রেস বুথ নং ১৭৬ ও ১৭৯।” উল্লেখ্য, কেশপুর আসনটি তৃণমূলের দখলে রইলেও ১৭৬ ও ১৭৯ নং বুথে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। আর এই কারণেই হয়ত বিজেপির কর্মীদের বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
লিফলেটটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী (Deepak Adhikari ) (DEV)। কেশপুর তৃণমূল সাংসদ দেবের নিজের গ্রাম। তাই তিনি তড়িঘড়ি বিষয়টিতে আলোকপাত করেছেন। তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে দলের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, আমাদের তরফ থেকে এমন কোনও লিফলেট বিলি করা হয় নি।” যদিও দেবের দাবি খারিজ করে দিয়েছে বিরোধী শিবির।