বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম হয়ে রয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহল। বিজেপি-তৃণমূল তরজা এখনও তুঙ্গে। একদিকে কালো পোষাক পরে ক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল (Trinamool) অন্যদিকে থালা, বাসন কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে পাল্টা বিক্ষোভ বিজেপির (BJP)। পাশাপাশি জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করার মত অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের উপরে। আর এবার এই গোটা ঘটনায় কড়া অবস্থান নিলেন স্পিকার (Assembly Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার থেকে ধর্না কর্মসূচি করার আগে নিতে হবে অনুমতি
সূত্রের খবর, বিধানসভা চত্বরে ঘটে যাওয়া যাবতীয় বিক্ষোভ, ধর্না এবং প্রতিবাদ কর্মসূচিতে লাগাম টানলেন তিনি। এরপর থেকে এই ধরণের কোনও কর্মসূচি করার আগে অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন স্পিকার। যদিও বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে সহজভাবে নিতে নারাজ পদ্ম শিবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর দাবি, কেবলমাত্র বিজেপির আওয়াজ বন্ধ করতেই নাকি এই পদক্ষেপ।
পাল্টা জবাব বিজেপির
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিধানসভা চত্বরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ধর্মতলা সভার আগে থেকেই সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল। মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকরের মূর্তির সামনে কালো পোশাকে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল শাসকদলের বিধায়করা। তার পালটা জবাব দেয় বিজেপি। বিধানসভার সিঁড়িতে বসে থালা, বাসন কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে বিরোধীতা করেন তারা। সেই সাথে ধুয়ে দেন আম্বেদকরের মূর্তি।
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য
এইসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এবার থেকে এধরণের সমস্ত কর্মসূচী বন্ধ। তার কথায়, ‘একটা অর্ডার দিয়ে বলেছি আমরা চাই পশ্চিমবঙ্গে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমাদের চত্বরের মধ্যে কেউ যদি ধর্নায় বসতে চান মিটিংয়ে বসতে হয় তবে আমার কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে।’
১৭ বছর আগে ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
স্পিকারের এই মন্তব্যের পরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ফিরে এসেছে ২০০৬ সালের ৩০ শে নভেম্বরের কথা। সেই সময় এই বিধানসভায় ভাঙচুর করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অভিযোগ স্বীকার করতে নারাজ। তার কথায়, ভাঙচুর তো হয়ইনি, সেদিন বিধানসভার কোনও আসবাবে পর্যন্ত তিনি হাত দেননি।