বাংলা হান্ট ডেস্ক : হাউ ডি মোদি কিছুদিন আগেই মহাসমারোহে পালিত হল। আমেরিকার বুকে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান একের পর এক বক্তৃতায় মন ভরিয়ে দিলেন দর্শকের। সংস্কৃতিক মঞ্চে উঠে আসলো ভারতের সংস্কৃতির নানা দিক। বক্তৃতায় উঠে এল 370 ধারা 35 এ থেকে আরম্ভ করে কাশ্মীর নিয়ে চাঞ্চল্যকর বক্তব্য।
বিভিন্ন ইসুতে ভারত পাকিস্তানকে একহাত নিল। করা জবাবের হুঁশিয়ারি দিলেন আমেরিকাও।
পাকিস্থানকে আন্তর্জাতিক বাজারে কোণঠাসা করতে কোনো ভূমিকাই ছাড় দিলেন না মোদি।
গত রবিবার হিউস্টনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বসে কাশ্মীর প্রসঙ্গে মধ্যস্থতা করার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ” আমি পাকিস্তানকে বিশ্বাস করি। আমি চাই যে কাশ্মীরে সবাই ভালো থাকুক।ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে যেমন আমার ভালো সম্পর্ক তেমনিই পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার ভালো সম্পর্ক। যদি দুজনেই বলেন ওদের একটা সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার কথা, তাহলে আমি সেই মুহুর্তেই রাজি হয়ে যাব। আমার ধারণা, আমি খুব ভালো মধ্যস্থতা করতে পারি। ”
ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পরই সাংবাদিকদের তরফ থেকে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। সাংবাদিক সম্মেলনে এক পাক সাংবাদিক ট্রাম্পকে বলেন, “আপনি যদি কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে পারেন তাহলে আপনিই নোবেল পুরস্কার পাওয়ার একজন যোগ্য দাবিদার। ”
এই কথার উত্তরে ট্রাম্প বলেন,”আমি মনে করি আমি অনেক কিছুর জন্য নোবেল পুরস্কার পেতে পারি। যদি সেটা ঠিকভাবে দেওয়া হতো তবে। কিন্তু ওরা দেয় না।” পাশাপাশি আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “পারমাণবিক যুদ্ধ বন্ধ করা ও নতুন এক পরিবেশ তৈরি করার প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাতে ২০০৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা কে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। ” ট্রাম্প কটাক্ষ করে বলেন, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ওবামা কে নোবেল দেওয়া হয়। কি জন্য এই পুরস্কার ওকে দেওয়া হয়েছে তার কোনও ধারণাও ওর নেই। এই একটা বিষয়ে আমি ওবামার সঙ্গে একমত।
প্রশ্ন হচ্ছে কাশ্মীর সমস্যা মেটানোর জন্য যখন ভারত নিজের অধিকার থেকে তারা নিজেদের আয়ত্তে করে নিয়েছে তখন বিশ্ববাজারে না করার পরও কেন নোবেলের লোভ দেখানো হচ্ছে ডোনাল ট্রাম্প কে!