অমিত সরকারঃভারতে পাকিস্তান কে নিয়ে চলছে এক ডামাডোল পরিবেশ। যেখানে মাঝে মাঝে এই যুদ্ধের আবহাওয়া তৈরি হচ্ছে আবার কোথাও যেন কর্পূর এর মত উবে যাচ্ছে। কিন্তু ভারত পাকিস্তানের এই সম্পর্কের তিক্ততা বহুকালের। কিন্তু এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যদি বহির্বিশ্বের দিকে নজর দেওয়া যায় তবে দেখা যাবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিজের স্বার্থান্বেষী মনোভাব পূরণ করবার জন্য সর্বদা যুদ্ধ নিয়ে দামামা বাজিয়ে চলেছে।
তো মানে ইরান আমেরিকার সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে যেখানে 80 জন সেনা নিহত হয়ে যাবার ঘটনা ঘটেছে এরপর থেকে আমেরিকার ডোনালট্রাম রয়েছেন মূর্তিতে।বিশ্বের সবচেয়ে বড় তৈল বাজার সৌদি আরবে কিছুদিন আগে ঘটে গেল এমন এক বিস্ফোরণ যাতে বহু তেলের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এরপরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলির মধ্যে সৌদি আরব তেল রক্ষার দায়িত্বে নিজে থেকে কখনোই সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে দুইবার ভেবেছে।
এর জন্য প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পছন্দ করলেও তাঁদের মনে আশঙ্কা ছিল যে তারা হয়তো তাদেরকে বিশ্বাস করতে পারবে না। তখন রক্ষার পরবর্তী ক্ষেত্রে তারা তুলনামূলক শক্তিশালী ইরানকে পাশে পেতে চাইছে। আর তখনই কয়েক মাস ধরে ইরানের সাথে সম্পর্কের পারদ কিছুটা হলেও গলছে। এবং সোলেমানি এই সমস্ত সম্পর্কের মেলবন্ধনে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এখানেই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাগ হয়েছিল। এই পরোক্ষ কারণ কেউ সোলেমান এর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন অনেক বড় বড় বৈদেশিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।
এছাড়া অপর একটি কারণ আমেরিকার অর্থনৈতিক বাজার সব সময় নির্ভর করে তার যুদ্ধনীতির ওপরে। এবং যুদ্ধের হাওয়া তৈরি করে কতখানি অস্ত্রের কেনাবেচা করতে পারছে তারা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে তার ওপর। আর আমেরিকায় এই মুহূর্তে ভোটের একটা আবহাওয়া চলছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেকটা একরোখা প্রকৃতির তিনি যেরকম মেজাজি তেমনি যুদ্ধকে অনেকটা প্রশ্রয় দেন। তাই রাজনীতিতেও যুদ্ধ যুদ্ধ আবহাওয়া টা কে উড়িয়ে দিচ্ছে না অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।
তবে এই সুযোগে ইরান বিশ্বের দরবারে যে একটা বড় সংখ্যক টিআরপি এবং নিজেদের আনুকূল্যে কিছু মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কে করে নিতে সক্ষম হল তা কিন্তু পরোক্ষ ভাবে চিন্তা করলে ধরা পড়বে আতস কাচ এর নিচে।