বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবার কি ফিরে আসছে সুনামির আতঙ্ক? আমেরিকান সংস্থা ইউএসজিএস অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ৬.২ তীব্রতার ভূমিকম্প দেখেই এই সিদ্ধান্তে এসেছে সংস্থাটি।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ পূর্ব তিমুরে এই ৬.২ তীব্রতার ভূমিকম্প এসেছিল। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র লসপালোস থেকে উত্তর পূর্ব দিকে ৩৮ কিমি দূরে অবস্থিত ছিল। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৯ কিমি গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র। তবে আশার কথা এই ভূমিকম্পে কোনও প্রাণহানী হয়নি। তবে আমেরিকার বৈজ্ঞানিক সংস্থা ইউএসজিএস ট্যুইট করে জানায়, এই ভূমিকম্পের প্রভাবে ভারত মহাসাগরে সৃষ্টি হতে পারে প্রবল জলোচ্ছ্বাস।
শুধুমাত্র ইউএসজিএস-ই নয়, আইওটিডাব্লুএমএস-ও ভূমিকম্পের পরেই সুনামির সতর্কতা জারি করেছিল। পূর্ব তিমুরের এক সাংবাদিক এই ভূমিকম্প অনুভব করেন। তিনি বলেন, খুব তীব্র ছিল এই ভূমিকম্প, যদিও তার স্থায়িত্ব খুব বেশি ছিলনা। এই ভূমিকম্পের প্রভাবে প্রতীবেশি বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজ শহরে বেশ কিছু ইমারত কাঁপতে শুরু করে।
Notable quake, preliminary info: M 6.2 – 38 km NE of Lospalos, Timor Leste https://t.co/TkBhEiUpGz
— USGS Earthquakes (@USGS_Quakes) May 27, 2022
বিশ্বে এমন একটি জায়গা আছে যেটিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা বলে। পূর্ব তিমুরে এই অঞ্চলেই পড়ে। অর্থাৎ এই অঞ্চলে ভূমিকম্প, সুনামি, আগ্নেয়গিরির মতো প্রাকৃতিক ঘটনা খুব বেশি ঘটে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ এ সুমাত্রায় ৯.১ তীব্রতার ভয়ানক ভূমিকম্পের প্রভাবেই সৃষ্টি হয় সুনামির। সেই সুনামিতে ইন্দোনেশিয়া এবং তিমোর মিলিয়ে ২.২০ লক্ষ মানুষ মারা গেছে। আপাতত পূর্ব তিমুরের জনসংখ্যা প্রায় ১৩ লক্ষ। এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে নতুন একটি দেশ। মাত্র ২০ বছর আগেই ইন্দোনেশিয়া থেকে এই দেশটি স্বাধীন হয়।