বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একটা সময় তুর্কি (Turkey) এবং ভারতের (india) মধ্যেকার গভীর বন্ধুত্ব আজকের দিনে তলানিতে এসে ঠেকেছে। একটা সময় এমনও হয়েছে, যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধাচারণ করে UNSC-তে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ লাভের পক্ষে সমর্থন করেছিল তুরস্ক। কিন্তু এখন সময় বদলেছে, বদলেছে তুরস্কের মানসিকতাও। এখন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোগানের লক্ষ্য সকল মুসলিম দেশের প্রধান হওয়া।
মুসলিম দেশের মাথায় থাকার কারণে ভারত নয়, এবার পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বেকে ঝালিয়ে নিচ্ছে তুরস্ক। পাকিস্তানকে খুশি করতে সকল অন্তরাষ্ট্রীয় সভায় কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের হয়ে সওয়াল করে এবং তাদের মূল বক্তব্য থাকে, বিশ্বের সকল মুসলিম দেশের পাশে তুর্কি রয়েছে। মুসলিমদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করবে তুরস্ক।
মুসলিম দেশদের সমর্থন করতে গিয়ে ভারতের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হয়ে এক নতুন সমস্যায় পড়েছেন তুরস্ক সরকার। পাশাপাশি মুসলিম দেশের খলিফা হওয়ার স্বপ্ন চিরতরে অধরা রয়ে গেল এরদোগানের।
চীনের শিনজিয়াং প্রান্তের উইঘুরে মুসলিমদের ভাষা, আচার-আচরণ, আদব-কায়দা অনেকটা তুরস্কের মতই। সেই কারণেই ১৯৫০ সালের পর থেকে চীন থেকে প্রচুর সংখ্যায় উইঘুরে মুসলিমরা পালিয়ে গিয়ে তুরস্কের গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে গিয়ে তারা বিভিন্ন অর্গানাইজেশন গঠন করে, চীনের উইঘুরে মুসলিমদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এই অর্গানাইজেশন গোটা বিশ্বকে একজোট হয়ে চীনের উইঘুরে মুসলিমদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আর্জি জানায়।
তুরস্কের এই আচরণ একেবারেই পছন্দ করেনা চীন সরকার। সেই কারণে চীন সরকার তুরস্ককে একটি এক্সাডিশন ট্রিটিতে স্বাক্ষর করার অনুরোধ করে। যার ফলে তুরস্ক থেকে চীনের উইঘুরে মুসলিমদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের উপর অত্যাচার করতে পারে। যারাই চীনের দিকে আঙ্গুল তোলে, চীন সরকার কৌশল করে তাদেরকে এই পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
চীনের ফাঁদে পা দিয়ে সেই পত্রে স্বাক্ষর করে ফেলে তুরস্ক সরকার। কিন্তু এই বিল তুরস্কে পাশ করতে দেয়নি তুরস্কবাসীরা। কিন্তু বর্তমানে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানকে খুশি রাখতে ভারতের থেকে করোনা ভ্যাকসিন না নিতে পেরে, চীনের থেকে ভ্যাকসিন নিচ্ছে। আর তাদের মধ্যে পূর্বেকার সেই বিলের নিরিখে ভ্যাকসিন দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। যার ফলে বেশ কিছুটা সংকটে পড়েছে তুরস্ক সরকার।