বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগে ফুরফুরা শরিফে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির (twaha siddiqui) সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। যদিও সেখানে গিয়ে ত্বহা সিদ্দিকির দেখা পাননি তিনি। আর তাঁর ঠিক কিছুদিন পর ত্বহা সিদ্দিকি নিজে সোজাসুজি নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সাথে সাক্ষাৎ করে গেলেন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
আগামী বছরই রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন হতে চলেছে। সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলোই নিজেদের মতো প্রচার শুরু করে দিয়েছে। আরেকদিকে, শাসকদল তৃণমূল রাজ্যের প্রতিটি জেলায় জেলায় প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও দুয়ারে সরকার আর শিক্ষকদের বাড়ি বাড়ি নিয়ে গিয়ে প্রচার সারছে তৃণমূল। আসন্ন নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট কার দখলে যাবে সেই নিয়ে চলছিল টানাপোড়েন আর এরইমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ত্বহা সিদ্দিকির বৈঠক আরও জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সাক্ষাৎ করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তরফ থেকে ৭০-৮০ জন মুসলিম প্রার্থী করার আবেদন জানিয়েছেন ত্বহা সিদ্দিকি। এছাড়াও ত্বহা সিদ্দিকির দেওয়া স্মারকলিপিতে মুসলিমদের চাকরিতে সংরক্ষণ দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ফুরফুরা শরিফে পীর আবুবক্কার সিদ্দিকির নামে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়াও স্মারকলিপিতে মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়েও আবেদন জানানো হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে যে, দীর্ঘ সাত বছর ধরে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ সেদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। আরেকদিকে, গতকালই প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকের পর আশার আলো দেখছে তৃণমূল।