বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশি সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার (Anwarul Azim Anar) হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পাতাল কালী মন্দির থেকে গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সাংসদ (Bangladeshi MP) খুনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে ছিলেন এই দু’জন। এমনকি খুনের সময় ঘটনাস্থলে হাজিরও ছিলেন ধৃত ফয়জল এবং মুস্তাফিজ।
বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ হেলিকপ্টার করে সীতাকুণ্ডের পাতাল কালী মন্দিরে হানা দেয় ঢাকা পুলিশের (Dhaka Police) গোয়েন্দা বিভাগ। হিন্দু সেজে সেই মন্দিরে (Kali Temple) গা ঢাকা দিয়েছিলেন ফয়জল এবং মুস্তাফিজ। পলাশ রায় এবং শ্যামল রায় নামে নিজেদের পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা। আনোয়ারুলের হত্যার পর প্রায় ২৩ দিন এই মন্দিরে আত্মগোপন করে ছিলেন দুই অভিযুক্ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হল না। বুধবার তাঁদের গ্রেফতার করে হেলিকপ্টার করে ঢাকায় (Dhaka) নিয়ে আসেন তদন্তকারীরা।
দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন রশিদ বলেন, ধৃত দুই ব্যক্তি নিউ টাউনে সঞ্জীব গার্ডেনে বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুলের হত্যার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন। আখতাউজ্জামানের নির্দেশে শিমুল ভুঁইয়া নামের যে ব্যক্তি বাংলাদেশি সাংসদকে খুন করেছিলেন তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন ফয়জল এবং মুস্তাফিজ।
আরও পড়ুনঃ অনুমতি দিয়েছে রাজ্য, তবু ৩০ জুন ধর্নায় বসতে রাজি নন শুভেন্দু! আচমকা কী হল?
হত্যার আগে আনোয়ারুলকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে বেহুঁশ করার কাজ করেছিলেন ধৃত ফয়জল। এরপর মুস্তাফিজ আনারের পোশাক খুলে তাঁকে উলঙ্গ করে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে দেন বলে জানা যাচ্ছে। গত ১৩ মে বাংলাদেশের সাংসদকে হত্যার পর ১৯ মে বাংলাদেশে ফিরে আসেন দু’জন। এরপর থেকে দুর্গম পাহাড়ের কালী মন্দিরে আত্মগোপন করেন তাঁরা।
গোপন সূত্রে এই বিষয়ে খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে ওই মন্দিরে হানা দেয় ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। চারিদিক থেকে ওই পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। এরপর গ্রেফতার করা হয় ফয়জল এবং মুস্তাফিজকে। হারুন রাশিদ জানান, এই হত্যাকাণ্ডে শামিল হয়ে মাত্র ৩০,০০০ বাংলাদেশি টাকা পেয়েছিলেন দুই ধৃত।