বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা কালে প্রথমের দিকে হওয়া লকডাউনের সময় যখন সবাই মহামারী নিয়ে ভীত ছিল আর নিজের গন্ধে বন্দি অবস্থায় ছিল, তখন রাজস্থানের জালোর জেলার দুই ছোট বাচ্চা সময়ের সদ্ব্যবহার করে নজীর গড়ল। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াশোনা মরা মধব আর তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করা অরচনা দূরদর্শনে রামায়ণ দেখে ৮ মাসে ২ হাজার ১০০ এর বেশি পাতায় সম্পূর্ণ রামায়ণ লিখে ফেলে। পুরো রামায়ণ এখন এদের কণ্ঠস্থ।
ভাই-বোনের এই জুটি ২১০০ পাতায় সম্পূর্ণ রামায়ণ লিখে সবাইকে অবাক করে দিএয়ছে। মহামারীর কারণে স্কুল বন্ধ থাকার পর দুজনে পুরো রামায়ণ পেন্সিল আর কলম দিয়ে লিখে ফেলে। শোনা যাচ্ছে যে, এই দুই বাচ্চা রামায়ণ এমন ভাবে স্মরণ করে নিয়েছে যে, এদের রামায়ণের যেকোনো ঘটনা নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা গড়গড় করে বলে দেয়।
৯ বছর বয়সী মাধব আর তাঁর ৬ বছর বয়সী বোন অর্চনা রামচরিতমানসের সমস্ত সাতটি কাণ্ড একেবারে ঠোঁটস্থ করে নিয়েছে। মাধব ১৪ টি কপিতে বালকাণ্ড, অয্যোধ্যাকাণ্ড, অরণ্যকাণ্ড আর উত্তরকাণ্ড লিখেছে। আর মাধবের বোন অর্চনা ছয়টি কপিতে কিশকিন্ধা কাণ্ড, সুন্দর কাণ্ড আর লঙ্কা কাণ্ড লিখেছে। এই দুই ভাই-বোন সঙ্ঘ পরিচালিত আদর্শ বিদ্যা মন্দিরের পড়ুয়া।
মাধব জানায়, দূরদর্শনে প্রসারিত রামায়ণ দেখে তাঁর সেটি পড়ার ইচ্ছে করে। প্রথমে পরিবারের সাথে, আর পরে দুই ভাই-বোন মিলে মাস শ্রীরামচরিতমানস তিন তিন বার পাঠ করে। এরপর তাঁদের বাবার প্রেরণায় দুই ভাই-বোন মিলে সম্পূর্ণ রামায়ণ নিজেই লেখার সংকল্প নেয় আর তাঁরা সেই কাজে সফলতা হাসিল করে।