বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে এসেছিলেন বাড়িতে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে দুজনের প্রতি মন গলে যায় বাড়ির দুই বউয়ের। ব্যাস, আর কি সময় সুযোগ বুঝে ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন দুই জা। কিন্তু কথায় বলে, সংসারে অর্থের টান পড়লে, প্রেম ঘুলঘুলি দিয়েও বেরিয়ে যায়। আর এক্ষেত্রে হলও তাই।
মুর্শিদাবাদের দুই শ্রমিক হলন সুভাষ ও শেখর। মাস ছয়েক আগে নিশ্চিন্দার (nischinda) আনন্দনগরের কর্মকার বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে এসেছিলেন। আর তখনই বাড়ির দুই বউয়ের সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। যার জেরে গত ১৫ ই ডিসেম্বর শীতের পোশাক কিনতে যাওয়ার নাম করে, বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসে না ওই দুই গৃহবধূ রিয়া কর্মকার ও অনন্যা কর্মকার। পালিয়ে যায় তাঁদের প্রেমিকদের সঙ্গে।
পরিবারের সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অনন্যার মোবাইল ট্র্যাক জানতে পারে, রিয়া ও অনন্যা আয়ুশকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা মুর্শিদাবাদে চলে গিয়েছেন। সেখানে একরাত কাটিয় পুলিশের ভয়ে পরদিনই তাঁরা মুম্বই পাড়ি দেন। এই খবর পেয়ে সেখানেই যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ।
কিন্তু পুলিশকে আর কষ্ট করে মুম্বাই যেতে হল না, পাখিরা নিজেরাই চলে এলেন এরাজ্যে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, আসানসোল স্টেশনেই ফাঁদ পেতে রেখছিল পুলিশ। আর তাতেই ধরা পড়ে এই প্রেমিক জোড়া। সঙ্গে ছিল আবার রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুশও।
জানা গিয়েছে, প্রেমিকদের সঙ্গে পালিয়ে গেলেও, কিছুদিন পরই অর্থ সমস্যা হওয়ার কারণে তাঁরা আবার এই রাজ্যে ফিরে আসে। আর গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়ে, তাঁদের হাতে নাতে পাকড়াও করে। তাঁদেরকে আসানসোল স্টেশন থেকে পাকড়াও করে নিশ্চিন্দা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।