ময়না-কালিয়াগঞ্জে নিহত দুই BJP কর্মীর স্ত্রী-ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু, নিয়োগ বিধানসভায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কালিয়াগঞ্জে সেদিন রাতের অশান্তিতে নিহত হয়েছিলেন বিজেপিকর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মন (Kaliaganj BJP Worker Murder Case)। অভিযোগ, পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে ময়নায় নিহত হন বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। সোমবার দুই বিজপি কর্মীর পরিবারের একজন করে নিয়োগ পেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দফতরে।

জানা যাচ্ছে, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার যে দফতর আছে সেখানে অ্যাটেন্ডেন্ট হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দু’জনকে। মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছেন শুভেন্দু।

suvendu adhikari

মুখ্যমন্ত্রীর মতো বিরোধী দলনেতারও চাকরি দেওয়ার কোটা থাকে। সেই কোটা থেকেই এই দু’জনকে নিয়োগ দিলেন শুভেন্দু। অনেকের মতে, এটাকে নিছক নিয়োগ হিসাবে দেখলে ঠিক হবে না। শুভেন্দু গোটা বিজেপির নিচুতলার সংগঠনকে বার্তা দিলেন যে তিনি সবসময় তাঁদের পাশে তিনি রয়েছেন। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

নিয়োগ পত্র হাতে পেয়ে মৃত্যুঞ্জয় বর্মানের স্ত্রী বলেন, উনি বললেন আমার চাকরি হয়ে গিয়েছে। এতে আমি খুশি। কিন্তু বারবার আমি বলছি যে যারা ওই গুলি চালানার ঘটনায় দোষী তাদের শাস্তি চাই। সিবিআই তদন্ত চাই। এই চাকরি হওয়ার জন্য সংসারে কিছুটা সুরাহা হল। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকারের উচিত ছিল ওঁকে চাকরি দেওয়া। তাই আমরা সম্মলিতভাবে চাকরির সুপারিশ করেছিলন।

এক নাবালিকার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। ক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালায় কালিয়াগঞ্জ থানায়। আগুন দেওয়া হয় থানায়। সেই ঘটনার পরদিনই কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিস। তাকে না পেয়ে তার জামাইকে হেফাজতে নিতে চায় পুলিস। তাতেই বাধা দেন মৃত্যুঞ্জয় বর্মন। তারপরই পুলিস গুলি চালায় পুলিস। এমনটাই অভিযোগ মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবারের।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর