বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরের ঝামেলা। এবার হাওড়ার (Howrah) ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান এলাকায় দোকানঘরের দখলকে কেন্দ্র করে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে। আর অভিযোগ করেছেন এলাকার তৃণমূল প্রধানের স্বামী। আবার যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনিও আরেক তৃণমূল প্রধানের স্বামী। ঘটনায় শোরগোল ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান এলাকায় অবস্থিত এক দোকানঘর দখল করতে যান ওই এলাকারই প্রধানের স্বামী তথা ওই অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি আজিজুল মল্লিকের লোকজন। বুলডোজার দিয়ে সেটি ভেঙেও দেওয়া হয়। ওদিকে তৃণমূল সভাপতির অনুগামীদের সেই কাজে বাধা দেন ভাটোরা পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী তথা এলাকার তৃণমূলের নেতা নঈম মল্লিক।
নঈম মল্লিকের অভিযোগ, সোমবার দলের মিছিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কুলিয়া ঘাটের কাছে তার এবং তার অনুগামীদের উপর রোষের কারণে হামলা চালায় আজিজুল মল্লিক ও তার লোকজন। তার কথায়, আজিজুল মল্লিক অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হলেও ভাটোরা পঞ্চায়েতের দখল নিতে চাইছে। দোকানঘর দখল করতে চাইছে। আর সেই কাজে বাধা দেওয়ায় তাদের মারধর পর্যন্ত করা হয়।
হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ভাটোটা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার প্রধান পঞ্চায়েত সদস্য সহ সেখানকার বাসিন্দারা। ওদিকে ভাটোরার প্রধান উপপ্রধান সহ অন্যান্য সদস্যদের দাবি তারা আজিজুল মল্লিকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই উচ্চতর নেতৃত্বর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ওই পঞ্চায়েতের ১৪ জন সদস্য পদত্যাগ করবেন বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিরাট ঘোষণা! যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু…
সরাসরি দুই তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্বে রীতিমতো উত্তপ্ত গোটা এলাকা। ওদিকে নিজের ওপর ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আজিজুল মল্লিক।
পাল্টা আজিজুল মল্লিকের দাবি, “অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। যেহেতু এখানকার সাধারণ মানুষের কাছে আমার বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে। তাই আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আর কিছুই না। “