বাংলা হান্ট ডেস্ক : গোটা দেশ জুড়ে একের পর এক লাভ জিহাদের (Love Jihad) ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। কোথাও হিন্দু তরুণীকে খুন হত্যা করে তাঁর দেহকে টুকরো করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা হচ্ছে, কোথাও বা দেহাংশ সিদ্ধ করেই নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সামনে এল এক অদ্ভুত খবর। দুই হিন্দু মেয়ে মুসলিম করতে চেয়ে শেষ করে ফেলল নিজেদের জীবনই।
ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) তিরুচিরাপল্লীতে। জানা যাচ্ছে, দুই হিন্দু তরুণী দুই মুসলিম তরুণকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন৷ রাজি ছিলেন দুই তরুণও। কিন্তু বাধ সাধে ওই তরুণীদের পরিবার। অনেক বুঝিয়েও পরিস্থিতি যখন নিজেদের পক্ষে আসছে না তখন কুয়োতে ঝাঁপ মেরে নিজেদের জীবন শেষ করে দিলেন দুজনেই। ঘটনার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশ জুড়ে।
তিরুচিরাপল্লী পুলিস সূত্রে খবর ২১ বছরের বিদ্যা ও ২৩ বছরের গায়ত্রীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে ওয়ালনাড়ু গ্রামে। এরপর দুই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বিদ্যা এবং গায়ত্রী দুই বোন। তাঁদের বাবা পিচাই এবং মা আখিলন্দেশ্বরী গ্রামে মজদুরের কাজ করেন। দুই বোন কোয়েম্বাটুরের একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করতেন। সেই কারখানাতেই কাজ করতেন ওই দুই মুসলমান ভাই। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়, এবং ধীরে ধীরে তা প্রেমের সম্পর্কে পরিণতি পায়।
দুই বোনই তাঁদের প্রমিকার সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে গল্প করতেন। এই ঘটনা নজর এড়ায়নি তাঁদের মায়ের। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবে মেয়েরা মুখ খোলেন। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কোনও সমস্যা ছিলনা পরিবারের। কিন্তু যখনই তাঁরা শোনেন দুই যুবকই মুসলিম সম্প্রদায়ের, তখনই বেঁকে বসেন তাঁরা।
দুই বোনই নিজেদের মা-বাবাকে অনেক করে বোঝানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। এরপরই দুই বোন বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। বহুক্ষণ হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি তাঁরা। একটু পরই গ্রামের কুয়োর পাশে দুটি মোবাইল ফোন খুঁজে পান গ্রামবাসীরা। তখন কুয়োতে উঁকি মেরে দেখেন সেই মর্মান্তিক দৃশ্য। মৃত অবস্থায় কুয়োর জলে ভেসে রয়েছে দুই তরুণীর দেহ। গ্রামবাসীরাই পরে পরিবার এবং পুলিসকে খবর দেয়।