বাংলাহান্ট ডেস্ক : উৎপাদন বাড়াবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। ফলে এক ধাক্কায় ১৮% কমল অপরিশোধিত তেলের দাম। দামের এই পতনের সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ব্যারেল পিছু কমে হয়েছে ১১০ মার্কিন ডলার।রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতির কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যাহত হয় অপরিশোধিত খনিজ তেলের সরবরাহ। এই সংকটের কারণে লাফিয়ে বাড়তে থাকে ব্যারেল পিছু এই তেলের দাম।
দাম বাড়তে বাড়তে একটা সময় এমন পরিস্থিতি আসে যে বিগত ৭ মার্চ ব্যারেল পিছু অপরিশোধিত খনিজ তেলের দাম ছাড়িয়ে যায় শেষ ১৪ বছরের রেকর্ডকেও। এদিন ব্যারেল পিছু তেলের দাম ছিল ১৩৯.১৩ মার্কিন ডলার। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরবের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছিলেন যে এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে উৎপাদন বৃদ্ধির পথেই হাঁটবেন তাঁরা।
নিজেদের প্রয়োজনের প্রায় ৮৫% অপরিশোধিত তেলই আমদানি করে ভারত। ফলে আরবের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে যে প্রভূর উপকৃত হবে ভারত তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ১৩৯ ডলার প্রতি ব্যারেল হওয়ার পরও খুচরো দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই ভারতীয় তেল ব্যবসায়ী সংস্থাগুলি। যার জেরে বড় ক্ষতির মুখেই তারা। আরব উৎপাদন বাড়ালে তা কিছুটা সামাল দেওয়াও সম্ভব হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহী অবিলম্বে ৮ লাখ ব্যারেল তেলের উৎপাদন বাড়াতে পারে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই তেল রাশিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে তার এক সপ্তমাংশই পূরণ করে দেবে। এরপর সরবরাহ বাড়াবে ইরাকও। এই সরবরাহ বৃদ্ধি অপরিশোধিত তেলের দামের ক্ষেত্রে বেশ ভালো রকম স্বস্তি দেবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।