বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাজে জ্বলছে গোটা দেশ। প্রথমে অসম ও ত্রিপুরায় অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল কিন্তু সেই আঁচ আস্তে আস্তে দেশের অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। তারপর রবিবার থেকে ক্রমশই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজধানী শহরও। দিল্লীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যেমন জেএনইউ ও জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এক জোট হয়েপ্রতিবাদ শুরু করে। বেশ কয়েকটি দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুণ জ্বালিয়েও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। তবে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ।
রবিবার বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে রীতিমতো কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ এবং তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে পাশাপাশি বহিরাগতদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। এ বার দিল্লির জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্ধব ঠাকরের। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর পুলিশি তাণ্ডবকে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। এমনিতেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছে কেন বিরোধী দলের নেতৃত্বরা।
এ বার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ঘরের সঙ্গে বলতে গিয়ে উদ্ধব ঠাকরে বলেন দিল্লির ক্যাম্পাসে পুলিশের প্রবেশ এবং পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনা মনে পড়ছে আমার, যদিও এখানেই থেমে থাকেননি তিনি জানান রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের বিক্ষুব্ধ হলে সেখানে কোনও ভাবেই শান্তি স্থাপন করা যায় না। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যুবশক্তি বিস্ফোরকের মতো তাই তাতে আগুন না যারা ধরাতে যাওয়াই ভালো।
বিজেপিকে বিঁধে এমনই মন্তব্য করেছেন উদ্ধব । দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলা এনডিএ জোট থেকে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য বেরিয়ে এসেছে শিবসেনা আর তার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে তোপ দাগতে ছাড়ছেন না শিবসেনা।জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে গত ১৫ ই ডিসেম্বর রাতে হওয়া হিংসায় দিল্লী পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে, গ্রেফতার করা ১০ জুবকের বিরুদ্ধে এর আগেই অনেক ক্রিমিনাল রেকর্ড দায়ের আছে। পুলিশ মংল্বার জানায় যে, ১০ জন অভিযুক্তদের সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক অনুযায়ী, গ্রেফতার করা ১০ জুবকের মধ্যে একজনও ছাত্র না।