বাংলাহান্ট ডেস্ক : জটায়ু থাকলে হয়ত নিশ্চয়ই বলে ফেলতেন “হাইলি সাস্পিসাস”! কেবল জটায়ু কেন? আপনার মনেও উঠতেই পারে এই একই প্রশ্ন। বিষয়টাই তো গোলার্ধের বাইরের এক গোলাকৃতি চাকতিকে ঘিরে। ঠিকই ধরেছেন, কথা হচ্ছে “আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট” অর্থাৎ ইউএফও নিয়ে। ভীনগ্রহে কি আমাদের মতই হেঁটে চলে বেড়ায় প্রাণ? এলিয়েন কি ইন্টারেস্টেড দুর্বল মানব জাতির ব্যাপারে? আমাদের ব্যাপারে জানতে পৃথিবীতে নেমে আসে তারা? সেই তথ্য কি লুকিয়ে রেখেছে এত কাল?
বঙ্কুবাবুর বন্ধু নিয়ে যেখানে রহস্য তুঙ্গে, সেই সময় সম্ভবত প্রথমবার ইউএফও নিয়ে জনসমক্ষে শুনানি হল আমেরিকা কংগ্রেসে। এবং সেই শুনানিতে রিপোর্ট পেশ করেছে পেন্টাগন, যা রীতিমত অবাক করার মত বিষয়।
রিপোর্ট অনুসারে বিগত ২০ বছরে অনেক সংখ্যক ইউএফও দেখা গিয়েছে মার্কিন আকাশে। তবে এতে এলিয়েন কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই সংক্রান্ত কোন রকম নথি নেই। একটা সমীক্ষা অনুসারে, ২০০০ সাল থেকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপর বেশি সংখ্য ইউএফও দেখা গিয়েছে, তাই সন্দেহ জাগছে এটি শত্রুপক্ষের ড্রোনও হতে পারে। নেভাল ইন্টেলিজেন্সের ডেপুটি ডিরেক্টর স্কট ব্রে এই বিষয়ে তেমন কোন আলোকপাত করেননি, তিনি কোন কাল্পনিক ভিত্তিকে প্রশ্রয় না দিয়ে এ বিষয়ে তদন্তের কথা টেনেছন।
যদিও সামগ্রিক তথ্যে তারা এটির একটি বিজ্ঞান সম্মত উত্তর খুঁজে চলেছেন। ইউএফও এর সাথে সামঞ্জস্য থাকলেও এটির সঠিক চেহারা সম্পর্কে এখনো কোন স্থির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পেশ করা যুক্তি গুলির সাথে এলিয়েন যোগ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা মার্কিন মহলে।