বাংলাহান্ট ডেস্ক : নীরব মোদী (Nirav Modi) যিনি ১৩,৫০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক (Punjab National Bank) জালিয়াতির পর লন্ডনে পালিয়ে যান এবং সেখানে ধরা পড়ার পর তিনি ১৯সে মার্চ, ২০১৯ থেকে লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগারে ছিলেন। তাঁকে অর্থনৈতিক অপরাধী আইনের অধীনে ঘোষণা করা হতেই ইডি বিদেশে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেয়। এই আইনের অধীনে ইডি তাঁর ১,৩৮৯ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে। এখন পলাতক হীরা ব্যবসায়ী নীরব মোদি সুপ্রিম কোর্টে তার প্রত্যর্পণের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে লন্ডন হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।
পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী তাঁর অসুস্থতা এবং আত্মহত্যার ঝুঁকির কারণে প্রত্যার্পণ না করার সিদ্ধান্তকে বহাল রাখার জন্য তিনি ব্রিটেনের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি তাঁর পরিচিত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বারা প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে মোদীর আপিল খারিজ করার সময় বলে যে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে মোদীর আত্মহত্যার ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে ভাবা যেতে পারে। তবে শেষে তাঁরা একথাও উল্লেখ করেন যে, আত্মহত্যার ঝুঁকিকে এইভাবে বিবেচনা করা যায় না।
লর্ড জাস্টিস জেরেমি স্টুয়ার্ট-স্মিথ এবং বিচারপতি রবার্ট জে লন্ডনের হাইকোর্টে বলেছেন যে, ভারত সরকার যে আশ্বাস দিয়েছে তার ভিত্তিতে, তাঁরা মেনে নিয়েছেন যে মোদীর ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা সেবার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এর জন্য একটি উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহন করা হবে।
বিচারকরা আরও উল্লেখ করেছেন যে, তিনি এখনও পর্যন্ত যদিও মানসিক অসুস্থতার কোনও লক্ষণ দেখাননি কিন্তু তিনি ক্রমাগত আত্মঘাতী ভাবনা প্রদর্শন করেছেন। তবে তিনি আত্মহত্যা বা ইচ্ছাকৃতভাবে আত্ম-ক্ষতির চেষ্টা করেননি বা এটি করার পরিকল্পনা করেননি এখনো। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ব্যারাক ১২ এ (মুম্বাইয়ের আর্থার রোড কারাগারে) তাঁকে রাখার আগে বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে যাতে তিনি আত্মহত্যার ঝুঁকি এবং আত্মহত্যার সম্ভাবনা উভয়ই কমাতে পারেন।