বাংলা হান্ট ডেস্ক: শেষ হতে চলেছে নভেম্বর মাস। তবুও বাজারে গেলে পরে যথারীতি হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। কারণ বাজার করতে গিয়ে একেবারে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। কারণ বাজারের দাম যে তুলনামূলকভাবে বেশি রয়েছে তা মেনে নিয়েছে এগ্রি মার্কেটিং বিভাগের হাওড়া শাখার উলুবেরিয়ার (Uluberia) আধিকারিকেরা। তারা বলেন, মাঝে থাকা ফোঁড়েরা ভিন্ন রাজ্য থেকে সব্জি এনে বাজারের দাম বাড়িয়ে তুলেছে। আর যার ফলে এ এই দাম রুখতে হাওড়ার বিভিন্ন বাজারে হানা দিল এগরি মার্কেট বিভাগের কর্তারা।
ফুলকপি-বাঁধাকপি বাজারে ঢুকেছে ঝাঁকে ঝাঁকে, রাজ্য ফোঁড় নিয়ন্ত্রণে তৎপর (Uluberia)
চলতি বছরে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে গ্রামাঞ্চলে চাষবাসের অবস্থা একেবারে দফারফা হয়েছে। আর এর প্রভাব থেকে বাদ যায়নি হাওড়া গ্রামীণ এলাকার আমতা দু’নম্বর ব্লক ও এক নম্বর ব্লক (Uluberia)। কারণ গ্রামীণ এলাকার অধিকাংশ বিপুল সবজির চাহিদা পূরণ করত এই সব এলাকা। কিন্তু এবার ডিভিসির জল ছাড়া ও বৃষ্টির ফলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে এক শ্রেণীর ফোঁড়েরা।

আরও পড়ুন: ঝোল বা কষা নয়! ‘কোলাপুরি মাটনের’ দাপটে সাজান ছুটির দুপুরের পাত, রেসিপি রইল
এছাড়াও, এগ্রি মার্কেটিং বিভাগের অভিযোগ ওই সব ফোরেরা বেঙ্গালোর বা উড়িষ্যা ও ঝাড়খন্ড থেকে মূলত ফুলকপি ও বাঁধাকপি সহ বিভিন্ন সবজি হাওড়ার বাজারে এনে সরবরাহ করছে। আর যার ফলে অবৈধভাবে বেশি লাভের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে সবজির দাম বাড়াচ্ছে। যার ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
কারণ একটু বড় সাইজের ফুলকপি বর্তমানে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার কাছাকাছি। এছাড়াও বিভিন্ন সবজি ৮০-১০০ টাকার কিলো দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এই সমস্ত ফোঁড়েদের বাড়বাড়ন্ত রুখতেই তৎপর হল এগ্রি মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের হাওড়া শাখা।
জানা যায়, ইতিমধ্যে হাওড়া বিভিন্ন অঞ্চলে হানা দিয়েছে এই আধিকারিকেরা। যদিও এখনো পর্যন্ত কাউকে পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি। তবে পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এই বিষয়ে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ধুলোগড়ের মতন পাইকারি বাজারসহ হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার বড় বড় বাজারের তল্লাশি চালানো হবে। আর যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে (Uluberia)।












