২০০৩- ০৪ সালে উমা ভারতীর (Uma bharati) মতো দাপুটে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে গ্রেপ্তার করে বদলির মুখে পড়েছিলেন এই মহিলা পুলিশ অফিসার। কিন্তু তবুও তিনি ভয় পান নি, অর্থ – ক্ষমতা কোনোটার কাছেই কোনোদিন মাথা নত না করা এই পুলিশ অফিসার যেন অপরাধীদের কাছে বাস্তবের ‘সিংঘম’
কোনও সরকারী কর্মচারী তার অবস্থান সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন এই দৃশ্য আমাদের দেশে খুব কমই দেখা যায়। পুলিশের ক্ষেত্রে তা আরো বিরল। প্রায়শই দেখা যায় যে কেবল সাধারণ মানুষই সংবিধানের তৈরি বিধি ও আইন মানেন। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের জন্য আইন অনুসরণ করা তাদের গর্বের বিরুদ্ধে। আইন ভাঙলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে এমনটাও বেশ কম দেখা যায়।
তবে সিনেমায় এমন অনেক চরিত্র দেখা যায় যারা ক্ষমতা ও অর্থের কাছে নত না হয়ে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন করেন। তবে আজ আমরা এমন এক মহিলা আইপিএস অফিসারের কথা জানব যার কাহিনি শুনে সিনেমার প্লট মনে হলেও তিনি একান্তই বাস্তব।তিনি আইন লঙ্ঘন করার জন্য মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতীকেও গ্রেপ্তার করেছিলেন। তাঁর নাম রূপা দিবাকর মৌদগিল, তিনি তার কাজের পদ্ধতির কারণে ২০ বছরের মেয়াদে ৪০ বার ট্রান্সফর চিঠি পেয়েছেন।
ভারতের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রসচিব রূপা দিবাকর মৌদগিল কর্ণাটকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ২০০০ সালে আইপিএস ক্যাডারে নির্বাচিত রুপা সেই সময়ে ইউপিএসসিতে ৪৩ তম র্যাঙ্ক অর্জন করেছিলেন। যার পরে তিনি হায়দরাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল পুলিশ একাডেমির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন, এই সময়ে তিনি তার ব্যাচে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছিলেন।তার প্রশিক্ষণ শেষে, তিনি কর্ণাটকের ধরওয়াদ জেলায় এসপি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাঁর বাবা জেএইচ দিওয়াকর একজন সার্ভিস অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী।
সম্প্রতি নিখুঁত আইপিএস রূপা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগের হ্যান্ডলুম এম্পোরিয়ামে স্থানান্তর পেয়েছিলেন, কারণ তিনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারের কুকর্ম প্রকাশ করেছিলেন, তবে রুপাকে তাঁর ২০ বছরের ক্যারিয়ারে এই বিষয়টি নতুন নয়। ২০০৩-০৪ সালে একটি আদালতের মামলার কারণে রাজ্য রাজ্যের তত্কালীন সাংসদ উমা ভারতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যার পরে তাঁর বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তবুও তিনি নিজের কাজের পদ্ধতি পরিবর্তন করেননি। তার সম্পর্কে বলা হয় যে সে যেখানেই দ্বায়িত্ব পালন করেন সেখানে দুর্নীতিবাজদের কপালে অশেষ কষ্ট থাকে।