বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jawaharlal Nehru University) প্রাক্তন ছাত্র নেতা উমর খালিদের (Umar Khalid) গ্রেফতারির পর রাজনৈতিক মহল সরগরম। নানান নেতা, নেত্রীরা এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন আর নিজেদের মতো করে মন্তব্য পেশ করছেন। আর এরমধ্যে জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা PDP এর প্রধান মেহবুবা মুফতিরও (Mehbooba Mufti) প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। মেহবুবা মুফতি এও পর্যন্ত বলেছেন যে, কপিল মিশ্রা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর উমর খালিদ সফুরা’র মতো মানুষ জেলের সাজা কাটছে।
Not crime but religion determines if one is to be jailed in India. No coincidence that Umar & Safoora are imprisoned but a Kapil & Komal are out & about https://t.co/XiXQd0VhJm
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) September 14, 2020
মেহবুবা মুফতি নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে লেখেন, ভারতে কার জেল হবে, সেটা তাঁর অপরাধ দেখে বিচার হয় না। তাঁর ধর্ম দেখে বিচার হয়, তাঁর জেল হবে কি না। এটা কোন অবাক করা জিনিশ না যে, উমর আর সফুরা জেলে আছে। আর কপিল মিশ্রা এবং কোমল বাইরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা আম আদমি পার্টির নেতা প্রশান্ত ভূষণ ট্যুইট করে লেখেন, দিল্লী পুলিশ সীতারাম ইয়েচুরি, যোগেন্দ্র যাদব, জয়তি ঘোষ আর অপুর্বানন্দের নাম নেওয়ার পর যেভাবে উমর খালিদকে গ্রেফতার করেছে, তারপর দিল্লী দাঙ্গায় হওয়া তদন্ত নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। এটা তদন্তের নামে নিরীহ প্রদর্শনকারীদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে মাত্র।
"हम हिंसा का जवाब हिंसा से नहीं देंगे। अगर वह दंगा करआएंगे तो हम झंडा लहराएंगे।अगर वह गोली चलाएंगे तो हम संविधान को हाथ में उठाएंगे"। यह है उमर खालिद, जिसको दिल्ली दंगा करवाने के लिए गिरफ्तार किया है। कपिल मिश्रा जैसे लोग जिन्होंने साफ-साफ दंगा भड़काया उनको नहीं। pic.twitter.com/lGP5ciKF2x
— Prashant Bhushan (@pbhushan1) September 14, 2020
জানিয়ে দিই, দিল্লী পুলিশের স্পেশ্যাল সেল দিল্লী দাঙ্গায় জড়িত থাকায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদকে (Umar Khalid) গ্রেফতার করেছে। দিল্লী পুলিশ অনুযায়ী, উমর খালিদের নাম দিল্লী দাঙ্গার প্রতিটি চার্জশিটে উল্লেখ আছে। উমর খালিদকে UAPA ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লী পুলিশের স্পেশ্যাল সেল আজ উমর খালিদকে আদালতে পেশ করবে।
দিল্লী দাঙ্গা মামলায় দিল্লী পুলিশের সাইবার সেল উমরকে দুবার জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে। প্রথমবার কয়েকমাস আগে, আর দ্বিতীয় এবং শেষবার এমাসের ২ তারিখে করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পর পুলিশ উমরের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছিল।
দিল্লী পুলিশ আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প আসার আগে উমরের ভাষণ আর দিল্লী দাঙ্গায় অভিযুক্তদের সাথে হওয়া কথাবার্তার কল রেকর্ড, তাঁদের সাথে মিটিং আর অভিযুক্তদের বয়ানে উমরকে ষড়যন্ত্রকারী বলে স্বীকার করার পরই দিল্লী পুলিশ এই পদক্ষেপ নেয়।