বাংলাহান্ট ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast) অভিযুক্ত কাশ্মীরি চিকিৎসক উমর মহম্মদের নাম প্রকাশ্যে আসতেই হতভম্ব তাঁর পরিবার। যাঁকে এতদিন “বইয়ের পোকা” বলে চিনতেন গ্রামবাসী, সেই ছেলেই দেশের রাজধানীতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের মূলচক্রী — এমন খবর মানতে পারছেন না কেউই। পুলওয়ামার কইল গ্রামের এই তরুণ চিকিৎসকের পরিবার এখন হতাশা ও অবিশ্বাসে আচ্ছন্ন।
দিল্লি বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast) জড়িত নাম, কে এই উমর উন নবী?
পরিবারের সদস্যদের দাবি, উমর ছিলেন শান্ত, পরিশ্রমী এবং মেধাবী ছাত্র। তাঁর বউদি জানিয়েছেন, “গত শুক্রবারই ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। ও বলেছিল সামনে পরীক্ষা আছে, তাই লাইব্রেরিতে পড়ছে। একেবারে বইয়ের পোকা ছিল। আমাদের সবাইকে পড়াশোনা করতে উৎসাহ দিত। এমন ছেলে কেমন করে জঙ্গি হল, কি করে দিল্লির বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast) নাম জড়ালো, কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না।” পরিবারের কথায়, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার নেশায় ডুবে থাকত উমর। তাঁর মা কঠিন পরিশ্রম করে পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা কাটানোর চেষ্টা করছিলেন, আর উমরই ছিলেন সেই ঘরের একমাত্র আশা।
কিন্তু বাস্তব ছবিটা যেন সম্পূর্ণ উল্টো। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা (Delhi Red Fort Blast) মেট্রোর কাছে যে সাদা গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়, তার বর্তমান মালিক ছিলেন উমর মহম্মদ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সুনহেরি মসজিদ থেকে লালকেল্লা মেট্রো পর্যন্ত গাড়িটি চালাচ্ছেন উমর নিজে। বিস্ফোরণের ঠিক আগে তাঁকে মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায় চালকের আসনে।
তবে বিস্ফোরণের (Delhi Red Fort Blast) মুহূর্তে গাড়িতে উমর ছিলেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীরা বলছেন, হয়তো মাঝপথে গাড়ি থেকে নেমে অন্য কাউকে চালাতে দিয়েছেন উমর। ফলে তাঁর মৃত্যুর খবর নিয়েও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। পুলিশের অনুমান, দিল্লিজুড়ে সোমবার ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হওয়ায় ভয় পেয়ে উমর পরিকল্পনার আগেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকস্তব্ধ ক্রিকেট দুনিয়া! গম্ভীর-ধাওয়ান দিলেন বিশেষ বার্তা
তদন্তে উঠে এসেছে, উমরই ছিলেন জইশ-ই-মহম্মদ মদতপুষ্ট ফরিদাবাদ মডিউলের অন্যতম সক্রিয় সদস্য। দুই সহযোগী চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল ও আদিল আহমেদ রাঠারের গ্রেপ্তারের খবর জানতেই নাকি তিনি ভয় পেয়েছিলেন। তাঁদের আস্তানা থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২,৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ জানিয়েছে, উমর ও তাঁর দল আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল রাজধানীর (Delhi Red Fort Blast) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। তবে এই তথ্য পরিবার কোনওভাবেই মানতে পারছে না। উমরের বউদি বলেন, “ও সব সময় বই নিয়ে থাকত, সমাজসেবার স্বপ্ন দেখত। এমন ছেলেকে জঙ্গি বলে চিহ্নিত করা আমাদের পক্ষে কষ্টদায়ক।”
পুলিশের দাবি, এটি ‘হোয়াইট কলার টেরর নেটওয়ার্ক’-এর অংশ — যেখানে চিকিৎসক, অধ্যাপক ও ছাত্ররা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অস্ত্র ও অর্থ পাচারের কাজ করত। এখন প্রশ্ন উঠছে — কীভাবে ‘বইয়ের পোকা’ উমর এমন পথে পা বাড়াল? সেই উত্তর খুঁজতেই ব্যস্ত তদন্তকারীরা (Delhi Red Fort Blast)।












