বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উন্নয়নের শীর্ষে আরও একধাপ এগিয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশ বাংলাদেশ (bangladesh)। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে এক নতুন উপহার পেল বাংলাদেশবাসী। এবার রাষ্ট্রসংঘের তালিকায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ঢুকে পড়ল বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের মুকুটে এক নতুন পালকের সংযোজন হল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে এই নতুন স্বীকৃতির কৃতীত্ব দেশবাসীকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি ২০১৮ সালেই বাংলাদেশকে এই তালিকার যোগ্য বলে ঘোষণা করেছিল। তবে রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম মেনে ২০২১ সালে এই ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রসংঘের ‘কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি’র (CDP) অন্যতম শীর্ষকর্তা তাফেরে তেসফাচিউ।
রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম ছিল- যে বছর কোন দেশকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করা হবে, তার পরবর্তী ৩ বছর অর্থনৈতিক উন্নতি, মাথাপিছু আয়, পরিবেশ ইত্যাদির বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট মানদন্ড ধরে রাখতে হবে। তবেই এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। উন্নয়নশীল দেশ হতে গেলে কোন দেশের মাথাপিছু আয় হতে হত কমপক্ষে ১ হাজার ২৩০ ডলার। তবে ২০২০ সালে বাংলাদেশের এই আয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮২৭ ডলার। যার ফলে গত শুক্রবারই বাংলাদেশকে এই তকমা দেওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, এর যেমন ভালো দিক রয়েছে- বাংলাদেশের উপর বিদেশি লগ্নিকারিদের আস্থা বাড়বে, ক্রেডিট রেটিং বাড়বে, বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ হবে, তেমনই অন্যদিকে- স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে রপ্তানি ও পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন থেকে প্রাপ্ত ছাড় এবং আর্থিক অনুদানও আর পাবে না বাংলাদেশ।
দেশের এই খুশির মুহূর্তকে দেশবসীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের এই উন্নয়নের মানকে ধরে রাখতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করব। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ২০২৪ সালের মধ্যেই গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করবে বাংলাদেশ। এই কাজের জন্য যা যা করণীয়, তা আমরা করবই’।