বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশজুড়ে এখন সর্বত্রই চাকরির (Job) একটা আকাল পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার ফলে বেকারত্বের (Unemployment) হার বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরির জন্য প্রস্তুতি শুরু করলেও সঠিক চাকরি পাচ্ছেন না বহু চাকরিপ্রার্থী। যার জেরে দিনের পর দিন প্রতিটি ক্ষেত্রে শূন্যপদের সংখ্যা বাড়লেও নিয়োগ না হওয়ায় খারাপ হচ্ছে সামগ্রিক পরিস্থিতি।
এদিকে, বেকারদের জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প শুরু করেছে সরকার। যার ফলে, তাঁরা আর্থিক দিক থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন। তবে, অনেকেই এই প্রকল্পগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানেন না। এমনকি, আমাদের রাজ্যেও বেকারদের জন্য শুরু হয়েছে ভাতা। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করব।
মূলত, আপনি যদি আপনিও যদি আমাদের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হয়ে থাকেন এবং এখনও কর্মহীন অবস্থায় থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার জন্য রয়েছে বড় খবর। কারণ, আপনি পেয়ে যেতে পারেন প্রতি মাসে ২,৫০০ টাকা। প্রথমে বিষয়টি শুনে অবাক হয়ে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। আসলে এই টাকা প্রদান করা হবে সরকারের তরফে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে বড় পদক্ষেপ! খড়্গপুরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৫ দিনের মেগা ট্রেড ফেয়ার
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে প্রতিটি রাজ্যের সরকারের তরফেও সাধারণ মানুষদের কথা ভেবে এবং তাঁদের সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করা হয়। যার মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হন জনসাধারণেরা। ঠিক তেমনই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রকল্প। এটি এমন একটি প্রকল্প যেটি কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেও এখনই বাড়ছে না DA! সামনে এল বড় আপডেট, কি করবেন কর্মীরা?
পরিসংখ্যানগত দিক থেকে দেখতে গেলে, এই ভাতার মোট পরিমাণের ৬০ শতাংশ দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বাকি অর্থ প্রদান করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, কর্মহীন যুবক-যুবতীরা কিভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন? সেই তথ্যটিও তুলে ধরেছি আমরা।
কিভাবে করবেন নাম নথিভুক্ত: জানা গিয়েছে যে, এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ অফিসে ন্যূনতম দুই বছর পূর্বে নাম নথিভুক্ত করে রাখতে হবে। পাশাপাশি, আবেদনকারীর পারিবারিক আয় হতে হবে বার্ষিক ২.৫ লক্ষ টাকার কম। এদিকে, শিক্ষাগত দিক থেকে আবেদনকারীকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হতেই হবে এবং বেকার থাকতে হবে। এছাড়াও, আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।