স্পিকারে বাজবে “পেমেন্ট সাকসেসফুল”! কিন্তু টাকা ঢুকছে না অ্যাকাউন্টে! বাংলা জুড়ে নতুন জালিয়াতি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউপিআই বা ইউনিফায়েড পেমেন্টস্ ইন্টারফেসের (Unified Payments Interface) হাত ধরে ভারতের ডিজিটাল লেনদেন ক্ষেত্রে এসেছে নয়া জোয়ার। পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকান হোক কিংবা দামি রেস্তোরাঁ, শপিংমল হোক কিংবা হোটেল, একটি মাত্র কিউআর কোড স্ক্যান করে নিমেষেই লেনদেন সম্ভব হচ্ছে ইউপিআই (UPI) মাধ্যম ব্যবহার করে।

বড়সড় জালিয়াতি ইউপিআই (Unified Payments Interface) মাধ্যমে

অনেক সময়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে টাকা প্রেরণ করলে প্রাপকের পেমেন্ট স্পিকারে বেজে ওঠে লেনদেন সংক্রান্ত নোটিফিকেশন। ব্যস্ত সময়ে অনেক ব্যবসায়ী শুধুমাত্র স্পিকারের এই নোটিফিকেশন শুনেই লেনদেনের বিষয়ে নিশ্চিত হন। এবার এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে নয়া সাইবার প্রতারণার (Cyber Scam) জাল বিছিয়ে ফেলেছে প্রতারকরা।

আরও পড়ুন : কেন ফুরফুরা যাচ্ছেন মমতা? বড় কথা ‘ফাঁস’ করে দিলেন শুভেন্দু, শোরগোল শুরু

নকল পেমেন্ট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একদল সাইবার অপরাধী। কলকাতার পাশাপাশি প্রতারণার জাল ছড়িয়েছে নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলাতেও। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের সাইবার শাখা। সাইবার শাখা সূত্রে খবর, প্রতারকরা একটি জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে গোপনে এই ‘ইউপিআই পেমেন্ট চ্যানেল’ চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন : আবেদন মঞ্জুর! দেড় মাস পর আরজি কর মামলা উঠতেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট! তোলপাড়

এই অ্যাপ্লিকেশনের ইন্টারফেস একেবারে ফোনপে, গুগল পে কিংবা পেটিএমের মতো। গ্রাহককে এই চ্যানেলের মাধ্যমে QR CODE স্ক্যান করে টাকা পাঠাতে বলা হয়। গ্রাহক টাকা পাঠালে গ্রাহকের মোবাইল ফোনে ভেসে ওঠে পেমেন্ট সাকসেসফুল নোটিফিকেশন। পাশাপাশি পেমেন্ট নোটিফিকেশন বেজে ওঠে গ্রহীতার স্পিকারেও।

Unified Payments Interface fraud case.

তবে টাকা পৌঁছয় না ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। হিসাব মেলাতে বসলেই নজরে আসে গোলমাল। সাইবার শাখার তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই ধরনের সাইবার জালিয়াতির নেপথ্যে থাকতে পারে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের সাইবার জালিয়াতরা। তদন্তে নেমে  মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ‘সলমন’ নামের এক প্রতারকের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

ধারণা করা হচ্ছে, এই ব্যক্তিই মুর্শিদাবাদে প্রতারণা চক্রের মাথা। সাইবার বিশেষজ্ঞেদের মত, অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে আরও সচেতনতা জরুরী। অচেনা লিঙ্ক বা মেসেজে ভুলেও ক্লিক করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সমস্যায় পড়লে ১৯৩০ নম্বরে যোগাযোগ করার কথাও বলা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর