‘বাংলায় আমার মন্ত্রকেরই ২৬ হাজার লাখ টাকা পড়ে!’, রাজ্যকে তোপ স্মৃতি ইরানির

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্র-বাংলা সংঘাত আকসার চলতেই থাকে। একদিকে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ টাকা নিয়ে অভিযোগ! অন্যদিকে কেন্দ্রের দাবি টাকা দেওয়া হলেও সে টাকা নাকি খরচই করে না রাজ্য। এদিন বাংলার সরকারকে (West Bengal Government) তোপ দেগে ঠিক একথাই বললেন কেন্দ্রের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী (Union Minister) স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। কেন্দ্রের বরাদ্দ নিয়ে রাজ্যের যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করলেন মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এদিন কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে শনিবার কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সেখানেই রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “পশ্চিমবাংলায় আমার মন্ত্রকেরই ২৬ হাজার লাখ টাকা পড়ে আছে। মহিলা ও বাচ্চাদের জন্য মোদী সরকার যে টাকা পাঠাচ্ছে, তা কেন বাংলার সরকার খরচ করছে না তার জবাব তাদের দিতে হবে।”

   

মন্ত্রী আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা প্রকল্পের টাকা এ রাজ্যের সরকার নিজেদের প্রকল্পে খরচ করছিল। আমরা লিখিতভাবে জানতে চাই, কেন প্রকল্পের আইন ভাঙা হচ্ছে। এ রাজ্যের সরকার আমাদের ২০২২ সালে লিখিত দিয়েছে, ওরা আর আইন ভাঙবে না। গাইডলাইন মানবে।” পাশাপাশি রেল খাতে শুধু বাংলার জন্যই ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটে ১১ হাজার ৯০০ কোটি কেন্দ্র তরফে দেওয়া হয়েছে সেকথাও তুলে ধরেন তিনি।

এরপর প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা প্রকল্প, আইসিডিএসের বিষয় নিয়েও রাজ্যকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার কথায়, “প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা টাকা সেই যোজনা হিসাবেই খরচ হবে। আইসিডিএস, অঙ্গনওয়াড়ির যত টাকা ভারত সরকার পোষণ প্রকল্পে দিচ্ছে। এটাও লিখিত দেওয়া হয়েছে, এই গাইডলাইন মেনেই চালাবে।”

irani m

অন্যদিকে মন্ত্রীর এই দাবি মানতে নারাজ রাজ্যের তৃণমূল সরকার। স্মৃতি ইরানির মন্তব্য প্রসঙ্গে বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “স্মৃতি ইরানি কিছুই জানেন না। মাঝেমধ্যেই লাফান ছটাং পটাং কথা বলেন। স্মৃতি ইরানির তো ছোট্ট দফতর। ওর মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক। কেন্দ্র এ ক্ষেত্রে একটা প্রকল্প ঘোষণা করে। তাতে রাজ্যের ম্যাচিং গ্রান্ট থাকে। রাজ্য তা দেওয়ার অবস্থায় না থাকলে প্রকল্পটা আটকে থাকে। এটা সম্ভবত তাই হয়েছে। স্মৃতি ইরানি ভাল মন্ত্রী নন বলেই তো ওর থেকে সব দফতর কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর