বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের (Pakistan) খাইবার পাখতুনখা এলাকায় সংখ্যালঘুদের ধার্মিক মনভাবে আঘাত করা একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হচ্ছে। সেখানে গৌতম বুদ্ধের (Gautam Buddha) একটি শতাব্দী প্রাচীন মূর্তিকে অমুসলিম হওয়ার কারণে ভেঙে ফেলা হয়। ওই মূর্তিটি মর্দন জেলার তখত ভাই এলাকার একটি বাড়িতে খোঁদাই কাজ চালানোর সময় পাওয়া গেছিল। ওই বাড়িতে নির্মাণকার্য চলার কারণে খনন চলছিল। প্রথমে সেখানে উপস্থিত শ্রমিকেরা বলে যে, মূর্তি ইসলাম বিরোধী। এরপর তাঁরা ওই শতাব্দী প্রাচীন মূর্তিটিকে ভেঙেও ফেলে।
শ্রমিকদের মূর্তি ভাঙার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। মিডিয়া রিপোর্টস অনুযায়ী, যেই এলাকায় বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছিল, সেটি প্রাচীন গান্ধার সভ্যতার অংশ। প্রায় ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ আগে ওই এলাকায় বৌদ্ধ ধর্ম অনেক জনপ্রিয় ছিল। শোনা যাচ্ছে যে, এই মূর্তি প্রায় খ্রিস্টপূর্বাব্দ ২০০ বছরের পুরনো। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে পাকিস্তানি আধিকারিকরা জানিয়েছে যে, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আরেকদিকে, পাকিস্তানের পর্যটন বিভাগের এক আধিকারিক জানান, এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমাদের টিম তদন্তে নেমেছে।
Heart breaking.
A life sized statue of Buddha was discovered in a construction site in Takhtbhai, Mardan recently.
However, before the Archaeology dept was informed about it, the contractor had already broken it into pieces as the local molvi warned him that he would lose.. pic.twitter.com/nWHHzkOxe7— Ahsan Hamid Durrani (@Ahsan_H_Durrani) July 18, 2020
আরেকদিকে, ২০১৭ সালে ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষ ইসলামাবাদে ২০ হাজার স্কয়ার ফুট জমি মন্দির নির্মাণের জন্য দিয়েছিল। তিন বছর ধরে সেখানে মন্দির তৈরির জন্য একটি ইটও গাঁথতে দেওয়া হয়নি। সব বাধা কাটিয়ে অবশেষে পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক সংসদীয় সম্পাদক লাল চাঁদ মাহি মন্দির প্রতিষ্ঠার কাজের সূচনা করেছিলেন। পাকিস্তান সরকার ওই মন্দির নির্মাণের জন্য ১০ কোটি টাকা অনুদানেরও ঘোষণা করে দিয়েছিলেন।
কিন্তু ঘোষণা করার কিছুদিনের মধ্যে মন্দিরের সামনে পাচিঁল তৈরির কাজ আটকে দেয় ক্যাপিটাল ডেভলপমেন্ট অথেরিটি (CDA)। সংস্থার মুখপাত্র মাজহার হুসেন জানান, ইসলামাবাদে বাণিজ্যিক কারণ বা আবাসনের জন্য যে বিল্ডিংই তৈরি হোক না কেন, তার জন্য অনুমতির প্রয়োজন আছে। কিন্তু মন্দির তৈরির অনুমতি ছিল না। অথচ মন্দির কমিটির দাবি, তাঁরা মন্দিরের প্ল্যান ওই দপ্তরের জমা করেছিলেন।
এদিকে মন্দির তৈরির জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এবার সেই অনুমতি নিয়েও টালবাহানা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দপ্তর জানিয়েছে, এ বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কাউন্সিল ফর ইসলামিক আইডোলজি কমিটি।