আফগানিস্তান নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে জরুরি বৈঠক, নেতৃত্বে ভারত

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই কার্যত কাবুল দখল করে কুড়ি বছর বাদে আফগানিস্তানের মধ্যে ফিরেছে তালিবান। যদিও শেষ পর্যন্ত কাবুলের যুদ্ধ করার আগেই পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তবে ফের একবার তালিবানদের কব্জায় আফগানিস্তানের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। অবশেষে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী জয় শঙ্করের নেতৃত্বে আফগানিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকের ডাক দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য রাশিয়া।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই আমেরিকা, কানাডা, ভারতসহ অন্যান্য বেশ কিছু দেশ আফগানিস্তানের নাগরিকদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। সংবাদকর্মী, সমাজকর্মী, মহিলা নেত্রী, লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এখন আজ এই নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয় সে দিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিক জামির কাবুলভ বলেছেন, ‘‘তালিবান আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাশিয়া, আমেরিকা, চিন, ব্রিটেন ও ফ্রান্স এই বিষয়ে আলোচনা করবে।’’

এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর। উল্লেখ্য নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে থাকা ১৯৩ টি দেশের অনেকেই আফগানিস্তানের তালিবান আগ্রাসনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে ইতিমধ্যেই। নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তালিবান সরকারকে কখনোই স্বীকৃতি দেবে না তারা। এ প্রসঙ্গে অবশ্য পাল্টা হুঁশিয়ারিও সহ্য করতে হয়েছে ভারতকে। এখন আজকের বৈঠকের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাশিয়া জানিয়েছে, এখনই কাবুলের রাশিয়ান দূতাবাস থেকে কর্মীদের ফিরিয়ে নিচ্ছে না তারা। কারণ তালিবানরা আশ্বাস দিয়েছে, কর্মীদের কোনও ক্ষতি করা তাদের লক্ষ্য নয়। যদিও গত ৩০ জুন রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি কার্যালয়ে হামলা চালায় তালিবান এবং তাতে মৃত্যু হয় একজন নিরাপত্তারক্ষীর। অন্যদিকে আবার আফগানিস্তানে বেশ কিছু জায়গায় জো বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধেও চলছে বিক্ষোভ। কারণ আমেরিকা সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার ফলেই শুরু হয় তালিবান আগ্রাসন। এখন শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।

 

X