বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলির জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (University Grants Commission)। নতুন সিদ্ধান্তে মোট ৫৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘খেলাপি’ বা ডিফল্টার ঘোষণা করেছে কমিশন। ইউজিসি প্রকাশিত তালিকায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করেনি। যার কারণে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে হিমশিম খেতে হয়েছে। আর ঠিক সেই কারণেই তাদের ডিফল্টারের তালিকায় রাখা হয়েছে।
কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবার্তা দিল ইউজিসি (University Grants Commission)
ইউজিসি সচিব মনীশ যোশী এই বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, ভর্তির আগে শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা প্রতিষ্ঠানের নির্ভুল তথ্য থাকা অত্যন্ত জরুরি। যেমন- বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি, কোর্সের নাম, শিক্ষার মাধ্যম, মূল্যায়ন পদ্ধতি, ইউজি, পিজি এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীর সংখ্যা, ক্যাম্পাসের বাইরে চাকরির সুযোগ, অনুষদের যোগ্যতা, ক্রীড়া সুবিধা ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ডিফল্টার ঘোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তা প্রকাশ করেনি। এর ফলে ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে। ইউজিসি (University Grants Commission) ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে যে অবিলম্বে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ না নিলে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোন কোন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় তালিকাভুক্ত?
ডিফল্টার ঘোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকায় মধ্যপ্রদেশ থেকে সর্বাধিক ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিফল্টার ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয় (ভোপাল), আর্যাবর্ত বিশ্ববিদ্যালয় (সেহোর), ড. প্রীতি গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি (শিবপুরী), জ্ঞানভর বিশ্ববিদ্যালয় (সাগর), জেএনসিটি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি (ভোপাল), মহাকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (জব্বলপুর), মহর্ষি মহেশ যোগী বৈদিক বিশ্ববিদ্যালয় (জব্বলপুর), মানসরোবর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি (সেহোর), শুভম বিশ্ববিদ্যালয় (ভোপাল)।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, গোয়া, হরিয়ানা, কর্ণাটক এবং অসম থেকে ১টি করে, বিহার ও ছত্তিশগড় থেকে ৩টি, গুজরাট থেকে ৮টি, ঝাড়খণ্ড থেকে ৪টি, মহারাষ্ট্র থেকে ২টি, মণিপুর থেকে ৩টি, পাঞ্জাব থেকে ২টি, সিকিম ও ত্রিপুরা থেকে ৫টি, উত্তরাখণ্ড থেকে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বন্দুক ছেড়ে মূলস্রোতে! ছত্তিশগড়ে একদিনে ১০৩ মাওবাদীর আত্মসমর্পণ, কেন?
উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা (University Grants Commission) গত কয়েক মাস ধরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কার্যকলাপের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। গত জুলাই মাসেই আরও ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সতর্ক করা হয়েছিল। কমিশনের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, নিয়ম না মানলে আগামীদিনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।