বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ মহা দশমী। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর (Durga Puja) শেষ দিন মাকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে যখন ব্যস্ত সকল বাঙালি। তবে সেই মুহূর্ততেও বাদ গেল না বিতর্কের। মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) ন্যায় অসুর নির্মাণ ইস্যুতে এবার পুজো উদ্যোক্তাকে নিগ্রহের ঘটনায় মামলা গড়ালো থানায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কসবার রুবি কানেক্টরের নিকট হিন্দু মহাসভা আয়োজিত একটি পুজোয় অসুরের স্থানে মহাত্মা গান্ধীর ছবি সামনে উঠে আসে। এই ঘটনাটি সামনে আসতেই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। অসুরের স্থানে মহাত্মা গান্ধীর মুখ কেন ব্যবহার করা হলো, সেই ইস্যুকে সামনে এনে বিতর্কে শামিল হয় সকলেই।
পরবর্তীতে টিটাগড় থানায় একটি মামলা পর্যন্ত দায়ের করেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। এরপরই অসুরের চেহারা বদল করা হলেও এখনো পর্যন্ত শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এবার এই মামলায় উদ্যোক্তা নিগ্রহের ঘটনায় ফের একবার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিন অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার নেতা তথা কসবা দুর্গাপুজোর মূল উদ্যোক্তা চন্দ্রচূড় গোস্বামীকে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এদিন সকালে পুজো মণ্ডপে মায়ের দর্শন করতে আসে তিন যুবক। পরবর্তীতে আচমকাই চন্দ্রচূড়ের ওপর একপ্রকার ঝাঁপিয়ে পড়ে সকলে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সম্পূর্ণ ঘটনা প্রসঙ্গে চন্দ্রচূড় বলেন, “তিনজন যুবক আজ হাতে ক্যামেরা নিয়ে মণ্ডপ পরিদর্শন করতে আসে। পরবর্তীতে আমার সন্দেহ হওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পৌঁছলে আমার পাশাপাশি আরও এক কর্মকর্তাকে নিগ্রহ করে তারা। একজন নিজেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক বলে পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।”
তবে বর্তমানে শুধুমাত্র পুজো উদ্যোক্তাকে নিগ্রহ করাই নয়, এই মামলায় ইতিমধ্যেই যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এক্ষেত্রে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ওরা বিজেপির অন্তরাত্মা। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করলেও কোন লাভ হবে না। ওরা বিজেপির মুখ।”
যদিও এই মামলায় কসবা হিন্দু মহাসভার পাশে দাঁড়ায়নি BJP-ও। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, “এই ঘটনার কড়া নিন্দা করা উচিত। গান্ধীজিকে অসুররূপে তুলে ধরা কখনোই উচিত হয়নি। এর বিরুদ্ধে পুলিশের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”