বাংলহান্ট ডেস্ক: হিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ (India-Bangladesh)। দিনে দিনে বাড়ছে অশান্তির আগুন, আর সেই পরিস্থিতিকে পুঁজি করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাংশ মৌলবাদী শক্তি। অভিযোগ, এই গোষ্ঠীগুলি প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার চালাচ্ছে। সেভেন সিস্টার্স কেড়ে নেওয়ার হুমকি থেকে শুরু করে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার উসকানিমূলক বক্তব্য শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মৌলবাদী নেতার মুখে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত-বিরোধিতাকে আরও স্পষ্ট করে সীমান্ত এলাকায় সামরিক তৎপরতা বাড়াল বাংলাদেশ।
অশান্তির আঁচ ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh) সীমান্তেও!
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ভারতের সীমান্তের কাছে তুরস্কে তৈরি অত্যাধুনিক ‘বে-রাক-তার টিবি-২’ ড্রোন মোতায়েন করেছে। গত বছর তুরস্কের কাছ থেকে এই ড্রোনগুলি কেনা হয়। অভিযোগ উঠেছে, পাকিস্তানের মধ্যস্থতাতেই এই ড্রোনগুলি বাংলাদেশের হাতে এসেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। সেই সখ্যতার ফল হিসেবেই এই সামরিক ড্রোন প্রাপ্তি বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশে অরাজকতার প্রসঙ্গে কড়া বার্তা ভারতের! দীপু দাস হত্যায় দ্রুত কঠোর পদক্ষেপের দাবি দিল্লির
এখন সেই তুরস্কের ড্রোন ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় নিয়মিত উড়তে দেখা যাচ্ছে। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, ড্রোন কেনার পর থেকে একাধিকবার বাংলাদেশি ড্রোন ভারতের সীমান্তের অত্যন্ত কাছে চলে আসে। সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে ভারতীয় বাহিনী বারবার সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ড্রোনগুলি টানা ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় আকাশে থাকতে সক্ষম এবং প্রয়োজনে আক্রমণ চালানোর ক্ষমতাও রয়েছে, যা নিরাপত্তা মহলে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিজয় দিবসের আগেই বাংলাদেশের একাংশ রাজনৈতিক নেতা ও মৌলবাদীদের বক্তব্যে ভারতের বিরুদ্ধে উসকানি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিজয় দিবসের ঠিক আগের দিন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ প্রকাশ্যে সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য করেন, যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত। এই ঘটনার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশে একের পর এক ভারতীয় ভিসা অফিস ও হাই কমিশনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কূটনৈতিক স্তরেও বাড়ানো হয় সতর্কতা।

আরও পড়ুন:‘অনেক জাগো মা হয়েছে…’, তেড়ে মারতে আসেন মেহবুব! সেদিন কী ঘটেছিল লগ্নজিতার সঙ্গে?
এই উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, হটলাইনে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দু’দেশের সেনা নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা হলেও অস্বস্তি পুরোপুরি কাটেনি। বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের ফোনের পরদিনই দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের বাইরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়। ক্রমবর্ধমান অশান্তি, মৌলবাদী উসকানি ও সামরিক তৎপরতা মিলিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে।












