বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকা। যেভাবে একের পর এক জেলায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে তানিয়ে অবগত রয়েছেন দেশবাসী। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল যে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয় বিক্ষোভকারীদের। এমনি পুলিশ গুলি চালাতেও বাধ্য় হয়। এবার উত্তরপ্রদেশে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হিংসার ঘটনা ছড়ানোয় তাই সোমবার গত সপ্তাহে লখনউতে বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসাত্মক ঘটনার অপরাধে উত্তরপ্রদেশের কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার প্রধান ওয়াসিমকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুধুমাত্র লখনউ-এর ঘটনাই নয় এর আগেও রাজ্যে বেশ কেয়কটি হিংসাত্মক ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে লখনউতে সিএএ বিরোধি ও এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন ওয়াসিমের দুই সহযোগী আসফাক ও নাদিমকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই একই ঘটনায় অভিযুক্ত থাকায় এর আগে পিএফআইয়ের মোট এগার জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছিলপুলিশ।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে লখনউয়ের এসএসপি জানিয়েছেন, লখনউয়ের হিংসাত্মাতর মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। এবং আর আগেই পিএফআইয়ের দুই সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কোনও ভাবেই সমর্থন করা যাবে না এই দাবিতে সরব হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ জন।
#Breaking | Proof of 'radical' role in the anti-CAA violence in U.P has been accessed.
The PFI has allegedly masterminded the violence in U.P and its leader Waseem has been arrested.
TIMES NOW's Amir Haque with details. Listen in. pic.twitter.com/oYIiQROkHn
— TIMES NOW (@TimesNow) December 23, 2019
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভের জেরে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে তেরো জনের তাই রবিবার নাগরিকত্ব বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূল প্রতিনিধিদের।সেখানে গিয়ে এই বিক্ষোভের জেরে নিহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করা পাশাপাশি আহতদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল ওই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের।
কথা মতোই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল আবির বিশ্বাস এবং নাদিমুল হক সকলেই নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে লখনউয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন কিন্তু তাঁরা বিমানবন্দরে পৌঁছনো মাত্রই আর এগতে দেওয়া হয়নি।