বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে এক অবাক করা ঘটনা সামনে এসেছে। এক যুবক তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। যুবক জানান যে, তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার চার বছরের ছেলেকে জোর করে খৎনা করায়। এর সাথে মুসলিম রীতি অনুযায়ী তার নামকরণ করা হয়। যুবক জানান, প্রতিবাদ করলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলেও পাঠায়। ১০ মাস পর জামিনে বেরিয়ে আসা নির্যাতিত পুলিশ কমিশনারের সাথে দেখা করে ন্যায়বিচারের আর্জি জানায়। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসনও।
মূলত, প্রতাপগড়ের বাসিন্দা অনিল মালি বাবু কোতোয়ালি এলাকায় থাকার সময় শ্রমিকের কাজ করতেন। এদিকে মীনা নামের এক মুসলিম তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দশ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল তাদের। তার চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন অনিলের উপর রাগ মেটাতে শুরু করে। বিয়ের আট বছর পর অনিলের স্ত্রী বাপের বাড়ি যাওয়া-আসা শুরু করে। অনিল তাঁর শ্যালক শাহজাদ ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর ব্রেন ওয়াশ করার অভিযোগ তুলেছেন। অনিল জানান, এই ব্রেন ওয়াশের পর থেকে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ দিতে থাকে।
অনিলের অভিযোগ, মুসলিম অনুযায়ী ছেলের নাম রাখেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অনিলের অভিযোগ, এর প্রতিবাদ করায় তাঁর শ্যালক শাহজাদ এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ২৮ আগস্ট ২০২২, তাঁর বাড়ি গিয়ে শিশুটিকে জোর করে খতনার জন্য নিয়ে যায়। অনিল এর বিরোধিতা করলে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। এরপর অলিনের স্ত্রী ও সন্তানকে সঙ্গে করে নিয়ে যায় শাহজাদ। এরপর স্ত্রীর ভাই শাহজাদে হত্যার চেষ্টার মিথ্যা মামলা দায়ের করে অনিলকে জেল পাঠায়।