বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিএড ও এল এড প্রশিক্ষিতদের নিয়ে টানাপোড়েন চলছেরই। এরই মধ্যে সামনে এল বড় খবর। বলতে গেলে পশ্চিমবঙ্গের বিএড প্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য সুখবর। এবার আর চাকরি যাওয়ার ভয় নেই তাদের। বিএড প্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের (Primary Teacher) পাশে দাঁড়ালো সরকার। স্বস্তিতে সকল শিক্ষকেরা।
জানা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর B.Ed প্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের ডি এল এড প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষেই শিক্ষকদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও সূত্রের খবর।
সম্প্রতি এক মামলার রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় প্রাথমিক (Primary) স্কুলে শিক্ষকতা করতে হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের D.El.Ed বা D.Ed ডিগ্রি থাকতেই হবে। অর্থাৎ কারও যদি বিএড ডিগ্রি থেকে থাকে সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকে আবেদন করতে পারবে না। এমনটাই নির্দেশ ছিল সর্বোচ্চ আদালতের।
আরও পড়ুন: বুধে চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ! দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির তাণ্ডব, সতর্ক থাকুন
এরপরেই বিএড প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের কী ভবিষ্যৎ হবে সেই নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। ২০২০ সালে মোট ১৬ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগের মধ্যে অধিকাংশই নিজেদের বি এড ডিগ্রি দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। যার ফলে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর একটা বড় অংশ দিশেহারা হয়ে পড়ে।
ওদিকে NCTE এর তৎকালীন নিয়ম অনুযায়ী B.ED ডিগ্রি দিয়ে চাকরি পেলেও তার ৬ মাসের মধ্যে B.ED প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ছয় মাসের ব্রিজ কোর্স করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে তা আর করানো হয়নি। যেকথা হাইকোর্টে স্বীকারও করে নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE)।
আরও পড়ুন: ‘এই’ সময়ের মধ্যেই করতে হবে ফলপ্রকাশ! গ্রুপ-ডি নিয়ে বড় আপডেট, মুখে হাসি চাকরিপ্রার্থীদের
এই পরিস্থিতিতেই এবার সেসব B.Ed ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ালো রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষেই এই প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকদের D.El.Ed প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও তাদের আর কোনও ভয় থাকবে না। ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কে চিঠি পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে D.El.Ed প্রশিক্ষণ হীন প্রার্থীদের তালিকা। সেই তালিকা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।