বাংলা হান্ট করা : ফের উত্তাল বিহারের রাজনীতি। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এবার ভাঙন ধরল বিহারের শাসক দল জনতা দল ইউনাইটেডের (JDU) ঘরে। নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে নতুন দল গড়লেন জেডিইউ-র বড় নেতা উপেন্দ্র খুশওয়া। নীতিশের ঘর ভেঙে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) -অমিত শাহ (Amit Shah) ঘনিষ্ঠ নেতা উপেন্দ্র-র নতুন দলের নাম- রাষ্ট্রীয় লোক জনতা দল।
নীতিশের দলের দিল্লির মুখ উপেন্দ্র ছিলেন নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য। বিহারে এনডিএ ছেড়ে ইউপিএ-র সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হন নীতিশ। এরপর দল নির্দেশ দিলেও উপেন্দ্র কুশওয়াহা বিজেপি-র সঙ্গ ছাড়েননি। পরে নীতীশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই বারবার তোপ দাগেন উপেন্দ্র।একটা সময় উপেন্দ্রকে জেডিইউয়ে নীতিশের উত্তরসূরি হিসেবও ধরা হচ্ছিল। উপেন্দ্রর নতুন দল গড়ার পিছনে বিজেপি-র হাত রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। নীতিশকে শিক্ষা দিতেই শাহ-নাড্ডারা উপেন্দ্রকে এগিয়ে দিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। উপেন্দ্রও বিজেপি-তে সরাসরি যোগদান না করে আলাদা দল গড়ে নীতিশকে শিক্ষা দেওয়ার পথ বেছে নিলেন।
বিহারে ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর এমনিতেই জেডি (ইউ)-র অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। নীতিশের ভাবমূর্তিও আর আগের মত নেই। ২০২০ বিহার বিধানসভায় জেডি (ইউ) মাত্র ৪৩টি আসনে জিতেছিল। যেখানে আরজেডি ৭৫, বিজেপি ৭৪টি আসনে জিতেছিল।
গতবছর অগাস্টে নীতিশ বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে লালুপ্রসাদের হাত ধরার পর পদ্ম শিবির ঘোষণা করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে রাজনৈতিকভাবে নিঃস্ব করে ছাড়বে তারা। তারা আরও অভিযোগ করে লালুপ্রসাদের হাত ধরে নীতিশ বিহারকে জঙ্গলের রাজত্বে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
আজ কুশওয়া বললেন, ‘নীতিশ বিহারের জন্য অনেক কাজ করেছেন। কিন্তু কথায় আছে, যার শেষ ভাল তার সব ভাল। বিহারে লালুপ্রসাদের দলের হাত ধরে নীতিশ নিজের উজ্জ্বল অতীতকে নস্যাৎ করেছেন। আজ কুশওয়া নতুন দল ঘোষণা করা গেরুয়া শিবিরের স্বপ্ন অনেকটাই পূরণ হল বলে মনে Modi করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।